পারিপার্শ্বিক যখন চোখ রাঙিয়ে বলে:
বয়স যে চল্লিশ পেরুলো,
বলি, আর কতো ঢেমনামি করবে?
মেয়েলোকের ওতো তেজ
ভালো না বাপু!
মনে রাখবে, পুরুষ ছাড়া মেয়েলোক হলো—
বিনা হালে বাঁজা জমি;
অমাবশ্যার চাঁদ, বারোয়ারি মাল।
তোমার ভালো চাই বলেই বলছি
আবার একটা বে-শাদি করো,
স্বামী সেবা করে কিছু পুণ্য কামাও।
কী করেবোঝাই, এই আমি
আজ কতো ভালো আছি।
কী করে বুঝাই?
আজ আমায় নিজের উপার্জনের
প্রতিটি পাই পয়সার হিসেব দিতে হয় না।
চোখের কালসিটে ঢাকতে ঘনঘন মেকআপ কিনে—
বাজে খরচ করতে হয় না।
সম্ভোগ শেষে ছুড়ে ফেলা ক্রীতদাসী হয়ে,
বালিশ ভেজাতে হয় না।
রোজ সন্ধ্যায় দরজার কড়া নাড়ার শব্দে
চমকে উঠি না।
হাসি আটকাতে গিয়ে বিষম খাই না,
গলায় পাঁচ আঙুলের দাগ পড়ার ভয়ে।
আমি এখন বৃষ্টিতে ভিজে, গালে মাখি রংধনুর রঙ।
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে,
নীলখাতায় লিখি জীবনের কবিতা।
হেসে গড়িয়ে পড়ি বেণী দোলানো কিশোরীর মতো।
বুঝলেন?
এই বেশ ভালো আছি
ছোট্ট দুটি হাত ধরে, পরম শান্তিতে আছি।