২৪ জুনের মধ্যে ঋণখেলাপিদের তালিকা জমা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৬, ২০১৯, ০৪:৩০ পিএম ২৪ জুনের মধ্যে ঋণখেলাপিদের তালিকা জমা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ


গত ২০ বছরের ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের তালিকা জমা দিতে ২৪ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত  আদেশে তালিকা প্রস্তুতের পাশাপাশি ওই সময়ে ব্যাংকিং খাতে কী পরিমাণ অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তা নির্ণয়ে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনের বিষয়ে জানাতে বলেছে আদালত।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগেও গত ২০ বছরে ব্যাংকের ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিগত বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে কী পরিমাণ অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তা নির্ণয়ে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

রুলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং এমডিকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

কিন্তু ওইসব তালিকা দাখিল না করায় তার অগ্রগতি জানাতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপরও সে আদেশের বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংককে ২৪ জুনের মধ্যে ওই তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ব্যাংকিং খাতে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, বিভিন্ন প্রাইভেট ও পাবলিক ব্যাংকে ঋণের ওপর সুদ মওকুফ-সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত এবং তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ৫টি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয় সচিব।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইআরপিবি) পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিষয় তদন্ত ও প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৯৫৩ সালের ইনকোয়ারি কমিশন অ্যাক্টের অধীনে একটি কমিশন গঠনের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু সে নোটিশের কোনো সদুত্তর না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন। রিটে একটি কমিশন গঠন করে ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দেন আদালত।

এমএ/আরআই