করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার (২৯ জুন) রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, বিপ্লব দাস, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান।
গত ১১ মে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আসামিরা। এর আগে গত ২০ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটিতে ৪০ জনের মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এই চার্জশিট জমা দেন।
প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে গত বছর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেন। যার বেশির ভাগই ভুয়া।
এরপর গত বছরের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।
ডিবির পরিদর্শক লিয়াকত আলী গত বছরের ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর সেই বছরের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।