উৎসব ঘিরে বরাবরই নানা আয়োজন হয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ বছর আয়োজনটা আরও বেশি। তাপমাত্রা বাড়ছে, করোনার প্রকোপও বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনও এগিয়ে যাচ্ছে। তাই নানা দিক নজরে রেখে পোশাকে স্বাধীনতার ৫০ বছরের ছোঁয়া এনেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে এসেছে লাল-সবুজ রঙে নকশা করা বিভিন্ন পোশাক। স্বাধীনতার অনুভূতিকে সব প্রজন্মের মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই আয়োজন। পোশাকের জমিনে সবুজের মধ্যে ফুটে উঠেছে লাল বৃত্ত। শাড়ি, টি-শার্ট,পাঞ্জাবি স্বাধীনতার রঙে সাজানো হয়েছে। আর ছোট-বড় সব বয়সীরা পছন্দসই পোশাকে উদযাপন করতে পারবেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
২৬ মার্চ আমাদের মুক্তির দিন, চেতনার দিন, আনন্দের দিন। বিশেষ দিনটিকে উপস্থাপন করতে সর্বোত্তম মাধ্যম হিসেবে ক্রেতাদের কাছে লাল সবুজের পোশাকগুলোর জনপ্রিয়তা সব সময়। দেশের প্রতি ভালোবাসা, দেশের স্বাধীনতায় একাগ্রতা প্রকাশে সব বয়সী মানুষই উদযাপন করে এই দিনটি। দিনটিকে ঘিরে থাকে তাদের নানা আয়োজন, নানা অনুষ্ঠান।
দেশের জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙ-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা বলেন, “সরল নকশা ও আরামদায়ক ফেব্রিকে পোশাক তৈরি হয়েছে। সবার পছন্দের সব ধরনের পোশাকই থাকছে। কাপড় বা ফেব্রিকেও ভিন্নতা রাখার চেষ্টা করেছি।”
পোশাকের ডিজাইনের ভিন্নতা তুলে আনা হয়েছে জানিয়ে বিপ্লব সাহা বলেন, “আমরা এবার থিমভিত্তিক কাজ করেছি; যা কোনোভাবেই বিক্রিকে উদ্দেশ্য করে নয়। এটি আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর বা সুবর্ণজয়ন্তীকে সম্মান প্রদর্শন মাত্র।”
স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পোশাকের এই আয়োজন নিয়ে বিপ্লব সাহা বলেন, “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি-এই কথাকেই উৎসর্গ করে এবারের কাজটি করেছি। একাত্তরেই আমার জন্ম। তাই স্বাধীনতার কাজগুলোতে সব সময় আনন্দটা উপভোগ করেছি।”
বিশ্বরঙ-এর এবারের পোশাকের ধরন নিয়ে বিপ্লব সাহা আরও বলেন, “পোশাকের মোটিফ, রং, ফেব্রিক, কাটিং সব ক্ষেত্রেই রয়েছে ভিন্নতা। চেষ্টা ছিল সব পোশাকে লাল-সবুজের ছোঁয়া রাখতে। লাল-সবুজ শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও পাঞ্জাবিতে থাকছে লাল সবুজের নকশা। স্ক্রিন প্রিন্ট, এমব্রয়ডারিতে নকশা করা হয়েছে এই পোশাকগুলো। এতে প্রাধান্য পেয়েছে স্বাধীনতার মোটিফ। নকশায় উঠে এসেছে দেশ, দেশের মাটি এবং পতাকা।