অনলাইনে হোক বৈশাখ উদযাপন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২১, ১০:০০ এএম অনলাইনে হোক বৈশাখ উদযাপন

নববর্ষ উদযাপন হবে এবার অনলাইনে, এমনটাই নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে হইহই-রইরই করে গায়ে রঙিন কাপড় জড়িয়ে নাচ-গানে বর্ষবরণ করার মধ্যে যে আনন্দ রয়েছে, সেটা কি আর অনলাইনে পাওয়া যায়! তবু করোনা সংক্রমণ যখন লাগামহীন তখন এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতেই হবে। কিন্তু উৎসব-আনন্দ কি আর থেমে থাকবে? চলবেই। 

ঘরে কিংবা অনলাইনে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নববর্ষের আনন্দ কিন্তু ভাগাভাগি করে নেওয়া সম্ভব। এ জন্য সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর ছক তৈরি করে নিতে পারেন। দিনটিতে যা যা করবেন, এর আগে যা যা প্রস্তুতি নিতে হবে, তা নিয়েই নতুন করে পরিকল্পনা করুন।

• কোনো কিছু সুন্দরভাবে সম্পাদনে চাই সুষ্ঠু পরিকল্পনা। আয়োজনে কী কী থাকছে তার পরিকল্পনা করে নিন। সে অনুযায়ী কীভাবে করা হবে, তার প্রস্তুতিও নিয়ে নিন।
• নববর্ষের বাঙালিয়ানা খাবারগুলোর থাকে পছন্দের তালিকায়। পান্তা-ইলিশ খাওয়া, মুড়ি-মুড়কি, মন্ডা-মিঠাই সবই হবে, তবে তা যার যার ঘরে। তাই যা যা লাগবে তার তালিকা করে কিনে রাখুন আগেই। পরিবারের সদস্যদের হিসাবে পণ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। বাজার যথাসম্ভব অনলাইনেই সেরে নিন।
• করোনায় বন্ধুদের তো দাওয়াত দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে আশপাশের কেউ যদি থাকেন তাদেরও নববর্ষের আনন্দে যোগ করে নিতে পারেন।
• বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা এলে তাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কোনো কমতি রাখবেন না।
• নববর্ষে নিজের বাড়িকেও সাজিয়ে নিন। রঙিন পর্দা, বিছানার চাদর বিছিয়ে ঘরকে প্রাণবন্ত করে তুলুন। ঘরে যদি রঙিন কাগজ থাকে তা কেটে বানিয়ে নিতে পারেন ঘর সাজানোর কিছু। যদি তা না থাকে নানা রঙের কাপড়, ওড়না দিয়েও ঘরের একটি দেয়াল সাজিয়ে নিতে পারেন।
• নতুন কাপড় ছাড়া তো বৈশাখ হয় না। কিন্তু করোনায় নতুন কাপড় কেনা সম্ভব হয়নি। কী করা যায়? ভাবুন তো পুরোনো কাপড়গুলোকেই অন্যভাবে পরে নতুনের ছোঁয়া দেয়া যায় কি না। যেমন পুরোনো শাড়িকেই অন্য ব্লাউজের সঙ্গে ভিন্ন আঙ্গিকে পরে নিতে পারেন। আবার পুরোনো সাদা লাল সালোয়ার কামিজের ওড়নাটা বদলে নিলেও কিন্তু নতুনের ছাপ দিতে পারবেন। তবে যদি সম্ভব হয় অনলাইনে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস থেকে নতুন জামা কাপড় কিনে নিতে পারেন।
• খুব ভোরে উঠে শোভাযাত্রায় যাওয়ার তাড়া নেই। তাই বলে দেরিতে ঘুম থেকে উঠবেন না। সকাল সকালই ঘুম থেকে উঠুন। খাবার রান্নার প্রস্তুতিও আগ থেকে গুছিয়ে রাখুন যেন সারা দিন রান্নাঘরেই পেরিয়ে না যায়।
• ১৪ এপ্রিল পবিত্র রোজা শুরু হচ্ছে। একই দিন বর্ষবরণও হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা বাঙালিয়ানার খাবার ইফতারে রাখতে পারেন। আর সাহরি হতে পারে ইলিশের নানা পদ দিয়ে।
• পরিবারে গানের আয়োজন করতে পারেন। ছোটদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠতে পারেন। বাঙালি খেলাগুলোর সঙ্গে তেমন কোনো পরিচয় নেই শিশুদের। এ ক্ষেত্রে বাড়ির ছাদে শিশুদের নিয়ে গোল্লাছুট, কাবাডি খেলে সময় কাটাতে পারেন। শিশুরা বেশ উপভোগ করবে।
• সামাজিক দূরত্ব এই সময় বেশি প্রয়োজন। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জারে বন্ধুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নিন। মোবাইল মেসেজে শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠাতে পারেন।
• নববর্ষের আয়োজনে কোনো সংস্থার সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন?  সেগুলো অনলাইনে প্রচারের ব্যবস্থা নিন। বর্তমান সময়ে একটি বড় অংশ হচ্ছে অনলাইনের দর্শক। নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারবেন।
• মোবাইলফোনে কিংবা দামী ক্যামেরায় বৈশাখের মূহুর্তগুলো ধরে রাখুন। ঘরের যেই কর্ণারটি যত্ন করে সাজিয়েছেন সেখানেই তুলে নিন চমতকার কিছু ছবি।
 

আরও সংবাদ