ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই খুশি ভাগ করে নেওয়া। ঈদের আনন্দের সঙ্গে সকাল থেকে সারাদিন নানারকম জম্পেশ খাওয়া দাওয়া তো হবেই। অতিথিদের নিয়ন্ত্রণে খাবার টেবিলে থাকে নানা রকম খাবারের বাহার। ঈদের দিন সকালটা যেমন মিষ্টি দিয়ে শুরু হয়, তেমনি দুপুরে ও রাতে চাই পোলাও, বিরিয়ানি, মাংস, কাবাব আরও অনেক পদ। ঈদের দুপুর ও রাতে অতিথি আপ্যায়ন বা পরিবারের জন্য় খাবারের টেবিলে নতুনত্ব আনতে বানিয়ে নিতে পারেন বেশকিছু সুস্বাদু খাবার।
ঈদ প্রস্তুতির দ্বিতীয় আয়োজনে থাকছে দুপুরে ও রাতের স্পেশাল ভুঁড়িভোজে থাকা ভিন্ন স্বাদের কয়েকটি রেসিপি। পরিবারের পছন্দমতো বানিয়ে নিন।
'গোলাপ জামুন বিরিয়ানি'
যা যা লাগবে_
যেভাবে বানাবেন_
ব্লেন্ডারে সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর ডুবো তেলে ছোট ছোট গোলাকৃতি করে ভাজুন। একটি পাত্রে তুলে রাখুন।
এবার একটা কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করুন। এতে জিরা, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা সামান্য ভেজে পেঁয়াজ আর আদা বাটা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ভেজে চাল দিয়ে দিন। এরপর চালগুলোকে সামান্য একটু নেড়ে পরিমাণমতো পানি ও তরল দুধ দিয়ে দিন। এরপর লবণ, চিনি ও লেবুর রস দিয়ে ঢেকে দিন।
পানি ফুটে উঠলে ঢাকনা খুলে এর মধ্যে কেওড়া জল ও ঘি দিয়ে আবার ঢেকে দিতে দিন। এবার পোলাও এর মধ্যে কাঁচা লঙ্কা, বেরেস্তা ও চিকেন এর বড়াগুলো দিয়ে দমে বসিয়ে দিতে হবে। হালকা আঁচে ১০ মিনিট দমে রাখুন। দম শেষে গরম গরম পরিবেশন করুন গোলাপ জামুন বিরিয়ানি।
'তন্দুরি চিকেন'
যা যা লাগবে_
যেভাবে বানাবেন_
ম্যারিনেট করার জন্য প্রথমে সব মশলাগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার চিকেনের লেগ পিস গুলোর মাঝে ছুরি দিয়ে চিরে মশলাতে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার মশলা মাখানো চিকেনের পিসগুলো ঢেকে ফ্রিজে দিন ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। চাইলে রেড ফুড কালার দিতে পারেন।
কড়াইতে অল্প তেল গরম করুন। এবার চিকেনগুলো দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। কিছুক্ষণ পর পর উল্টে পালটে দিন। ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রান্না করুন মাঝারি আঁচে। চিকেন পোড়া ভাব চলে এলে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল তন্দুরি চিকেন।
'মাটন গ্লাসি'
যা যা লাগবে_
যেভাবে বানাবেন_
প্রথমে পাত্রে তেল গরম হতে নিন। এরপর গরম তেলে একে একে পেঁয়াজ কুঁচি এবং আস্ত গরম মশলাগুলো দিয়ে দিন। পেঁয়াজের হালকা বাদামি রং হলে এর মধ্যে খাসির মাংস ঢেলে দিন। তিন চার মিনিট মাংস ভাঁজুন। এরপর মাংসে পরিমানমত লবণ দিন। মাংস ভাঁজার এই সময় সব বাটা মশলা এবং গুঁড়া মশলা একঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্টের মতো বানিয়ে নিন। এরপর ভাঁজা মাংসের মধ্যে এই মশলার পেস্টটি দিয়ে দিন। সব একসাথে মিশিয়ে নিন।
মাংস বেশ সময় নিয়ে কষিয়ে রান্না করুন। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে গরম পানি যোগ করুন। পাত্র ঢেকে দিয়ে রান্না করুন। মাঝে মাঝে সব নেড়ে দিন। যাতে পাত্রের নিচে না লেগে যায়। মাংস সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর মাংসের ঝোল ঘন হয়ে এলে এতে আলুবোখারা দিয়ে দিন।
কিছুক্ষণ হালকা আঁচে চুলায় রাখুন। ১০ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন। ঢাকনা খুলবেন না। পরিবেশনের আগ পর্যন্ত ঢেকেই রাখুন। গোলাম জামুন পোলাওরের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।