রান্নার স্বাদ অনেকটা নির্ভর করে রান্নার তেলের উপর। ভালো তেল দিয়ে রান্না হলে স্বাদও বেড়ে যায়। সে সঙ্গে গুণগত মানও ঠিক থাকে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন নামের তেল পাওয়া যায়। তবে কোন তেল স্বাস্থ্যের জন্য় উপকারী তা নিয়েও আমাদের দ্বিধায় পড়তে হয়।
সব ধরনের তেলেই চর্বি বা ফ্যাট থাকে। স্যাচুরেটেড, মনো-আনস্যাচুরেটেড ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যেগুলো আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়।
তাই কোন তেলে কী পুষ্টি রয়েছে তা জেনে নিয়ে তারপর ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
সয়াবিন তেল
সয়াবিন তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ৩৫ শতাংশের কম এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ৫০ শতাংশের ওপরে। এর স্মোক পয়েন্টও অনেক বেশি (প্রায় ২৫৬ ডিগ্রি)। বেশি তাপমাত্রার রান্না, ভাজা বা পোড়া খাবার তৈরিতে সয়াবিন তেল খুবই ভালো। তবে সয়াবিন তেল ডায়াবেটিস, স্থূলতা, স্নায়ুজনিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
সানফ্লাওয়ার তেল
পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ থাকে এই তেল। এতে স্মোক পয়েন্ট অনেক বেশি। রান্নার জন্য বেশ ভালো।সানফ্লাওয়ার তেলে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ রয়েছে। যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
সরষের তেল
এই তেলে নো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় ৬০ শতাংশ। যা শরীরের কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে। এর ওষুধি গুণ রয়েছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও সরষের তেলে ব্যবহারের উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে।
নারকেল তেল
যদি আপনি খাবারকে আধুনিকীকরণের জন্য চর্বিযুক্ত বিকল্পের সন্ধান করছেন তবে নারকেল তেল একটি দুর্দান্ত পছন্দ। বেকিংয়ে এ্ই তেল ব্যবহার করতে পারেন। হাইড্রো প্রসেসড ট্রান্স ফ্যাট (যা আপনার জন্য় খারাপ) এর বিকল্প হিসাবে এই তেল ব্যবহার করুন। এই তেলে কিছু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
অলিভ ওয়েল
অলিভ ওয়েল হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এই তেলে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটগুলোর বিপরীতে মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো (এমইউএফএ) স্বাস্থ্যকর ডায়েটরি ফ্যাট হিসাবে বিবেচিত হয়। অতিরিক্ত তাপমাত্রা রান্না হলে এর সূক্ষ্ম গন্ধ নষ্ট হয়। হালকা সবুজ শাকসবজি, মাছ-মাংস বা পরোটা ভেজে খেতে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।