বর্ষাকালে এদিক-ওদিক ছুটে বেড়ায় ব্যাঙ। কোলাব্যাঙ, সোনাব্যাঙ কতই না প্রজাতি রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ চমক মিলল নতুন প্রজাতির এক ব্যাঙ দেখে। গবেষকদের নজর আটকে গেল ওই ব্যাঙটির ওপর।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক বিশেষ প্রজাতির ওই ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন। ব্যাঙটি ছুটে বেড়াচ্ছে নিউগিনির নিম্নাঞ্চলের একটি গ্রামে। ব্যাঙটির গায়ের রং ঘন চকলেট বর্ণের। এ কারণে ব্যাঙের এই প্রজাতিকে ‘চকলেট ব্যাঙ’ নামে ডাকছেন গবেষকরা। তবে কয়েকজন গবেষক এর নাম দেয় ‘লিটোরিয়া মিরা’। লাতিন ভাষায় যার অর্থ ‘অবাক করার মতো’।
গেছো ব্যাঙ সাধারণত সবুজ রঙের হয়। তবে নতুন সন্ধান পাওয়া এ প্রজাতির ব্যাঙের ত্বকের রং গাঢ় খয়েরি। গবেষকদের মতে, প্রাণিবিদ্যা চর্চার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙটি।
গবেষকদের দেওয়া এই তথ্যের পরই ‘চকলেট ব্যাঙের’ ছবি চষে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। প্রকৃতিপ্রমীরা উৎসাহ নিয়েই খুঁটিয়ে দেখছেন বিরল প্রজাতির এই ব্যাঙটিকে।
জিনিউজ জানায়, ‘অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অব জুওলজি’ মে মাসের শেষের দিকে ‘চকলেট ব্যাঙ’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘সেন্টার ফর দ্য প্ল্যানেটরি হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি’ এবং কুইন্সল্যান্ড জাদুঘরের গবেষক পল অলিভার এই ‘চকলেট ব্যাঙের’ সন্ধান পেয়েছেন।
পল অলিভার বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত লিটোরিয়া ক্যারুলেয়া প্রজাতির গেছো ব্যাঙ পাওয়া যায়। এদের গায়ের রং সবুজ। নতুন সন্ধান পাওয়া প্রজাতিটি লিটোরিয়া ক্যারুলেয়া প্রজাতির সমগোত্রীয়। তবে রং একেবারেই আলাদা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘লিটোরিয়া মিরা’। লাতিন ভাষায় যার অর্থ ‘অবাক করার মতো’। আসলে এ আবিষ্কার গবেষকদের অবাক করেছে। অস্ট্রেলিয়ান সবুজ রঙের ব্যাঙের সঙ্গে এদের মিল থাকলেও নতুন এই চকলেট ব্যাঙ তাদের থেকে কতটা আলাদা, এটাই সব চেয়ে বড় প্রশ্ন।”
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামের ব্যাঙ গবেষক স্টিভ রিচার্ড বলেন, “চকলেট ব্যাঙ দেখতে চমৎকার। উষ্ণ আবহাওয়ায় এরা থাকে।”
নিউগিনির নিম্নাঞ্চলের জলাভূমিতে প্রচুর কুমির রয়েছে। তাই ২০১৬ সালে এই ব্যাঙের সন্ধান প্রথম মিললেও নতুন এই প্রজাতি নিয়ে গবেষণায় বিলম্ব হয়েছে বলে জানান গবেষক স্টিভ রিচার্ড।