চট্টগ্রামের সাদিয়া তাহের স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ আয়োজিত ‘সেরা রাধুনী ১৪২৭’ নির্বাচিত হয়েছেন। সেরা রাধুনী প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে খুলনার নাদিয়া নাতাশা ও ঢাকার মরিয়ম হোসেন নুপুরকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন।
ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে শুক্রবার (৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
ষষ্টবার আয়োজিত এবারের প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় গত ২৯ ডিসেম্বর। বিভাগীয় অডিশনের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ২৮ জন নির্বাচিত হন। এরপর তাদের ১৫ জনকে নিয়ে শুরু হয় স্টুডিও রাউন্ড লড়াই।
পরের পর্বগুলোতে প্রতিযোগিদের শুধু রান্নার দক্ষতায় নয়, রেসিপিগুলোর প্রক্রিয়া ব্যয় ও মূল্য নির্ধারণে তাদের পারদর্শিতাও যাচাই করা হয়েছে। এরকম কঠিন নানা চ্যালেঞ্জ পার হয়ে নাতাশা, সাদিয়া ও নূপুর সেরা তিনে জায়গা করে নেন।
এরপর কক্সবাজারে আরও দু’টো প্রফেশনাল চ্যালেঞ্জের (ফাইভ স্টার কিচেন সামলানোর ‘রেস্টুরেন্ট চ্যালেঞ্জ’ এবং ‘সি-ফুড চ্যালেঞ্জ’) মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
যার নম্বর নির্ধারণ করে চূড়ান্ত ফলাফল।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে বর্ণাঢ্য সব আয়োজনের মধ্যে নৃত্যশিল্পী ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় ধৃতি নর্তনালয়ের শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজে ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। তিনি সব প্রতিযোগিকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলার স্বাদ ও খাবারের কথা বিশ্বমঞ্চে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
সেরা রাঁধুনী ১৪২৭-এ অংশ নেয়া বাকি ১২ জনের হাতে বিশেষ সম্মাননা স্মারক ও চেক তুলে দেন প্রতিযোগিতার তিন সম্মানিত বিচারক এক্সিকিউটিভ শেফ শুভব্রত মৈত্র, রন্ধন বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা, অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা এবং অঞ্জন চৌধুরী।
গ্র্যান্ড ফিনালের বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে আরও ছিলেন অভিনেত্রী তারিন জাহানের কুইজ শো, অভিনেতা সাজু খাদেমের কৌতুক এবং ‘জলের গান’ এর পরিবেশনা।
ফলাফল ঘোষণার নাটকীয় পর্ব শেষে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ও স্মারক চেক তুলে দেন প্রতিযোগিতার তিন বিচারক, অঞ্জন চৌধুরী এবং স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা পারভেজ সাইফুল ইসলাম।
বিজয়ী হিসেবে সাদিয়া তাহের ১৫ লাখ, নাদিয়া নাতাশা ১০ লাখ এবং মরিয়ম হোসেন নূপুর পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
পুরো আয়োজনটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিল মিডিয়াকম লিমিটেড। ব্রডকাস্ট পার্টনার মাছরাঙা টেলিভিশন।
জাগরণ/এসএসকে