করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে বিশ্বের সবচেয়ে দামি হ্যামবার্গার আবিষ্কার করেছেন নেদারল্যান্ডসের রেস্তোরাঁ মালিক রবার্ট জ্যান ডি ভিন।
করোনার অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে কাজ হারিয়ে দরিদ্র মানুষদের জন্য কিছু করতে চাওয়া থেকেই তিনি আবিষ্কার করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি হ্যামবার্গার।
৫ হাজার ৯৬৪ ডলার দামের এ হ্যামবার্গারটি তৈরি করতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগে।
নাম রাখা হয় দ্য গোল্ডেন বয়।
বেশ কয়েক স্তরের বার্গারটিতে ছিল দামি দামি সব উপকরণের সমাহার। যেমন—জাপানি ওয়াগু গরুর মাংস, বেলুগা ক্যাভিয়ার, আলাস্তার কিং কাঁকড়া ও সাদা ট্রাফল। বার্গার তৈরির জন্য যে রুটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা মোড়ানো ছিল খাদ্যোপযোগী সোনার পাতলা আবরণ দিয়ে।
গত ২৮ জুন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বহুসমন্বিত ব্যবসা রেমিয়া ইন্টারন্যাশনালের কাছে এটি বিক্রি করা হয়। রয়্যাল ডাচ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রবার উইলেমসে এটি খান।
বার্গার বিক্রি করে পাওয়া অর্থ নেদারল্যান্ডসের খাদ্য ব্যাংকভিত্তিক একটি অলাভজনক সংগঠনকে দান করেছেন রবার্ট জ্যান ডি ভিন। এর মাধ্যমে দাতব্য সংগঠনটি অভুক্ত মানুষের জন্য অন্তত এক হাজারটি খাদ্যসহায়তা প্যাকেজ তৈরি করতে পারবে।
৩৩ বছর বয়সী ভিন বলেন, আমি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গারটি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেইসঙ্গে এটি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ সমাজের মানুষের প্রয়োজনে ব্যয় করতে চেয়েছিলাম।
এজন্য বিভিন্ন আর্কাইভ ও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও অনুসন্ধান করেন তিনি। দেখতে পান এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি বার্গারটি বিক্রি হয়েছে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগনের এক রেস্তোরাঁয়। তার ওজন ছিল ৩৫২ দশমিক ৪ কেজি। দাম ছিল ৪ হাজার ২০০ ইউরো।
এত ওজনদার বার্গারটি নিশ্চিতভাবেই একজন মানুষের জন্য তৈরি করা হয়নি। তখন কেবল একজন মানুষের উপযোগী করে নতুন রেসিপির সবচেয়ে দামি বার্গার তৈরির চ্যালেঞ্জ নেন ভিন।
জাগরণ/এসএসকে