করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর, এবার অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঐতিহাসিক ঈদ জামাত। দেশের সবচেয়ে বড় এই জামাতের প্রস্তুতি চলছে বেশ জোরশোরে।
মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক।
ঈদ জামাত উপলক্ষে চলছে শেষ সময়ের ধোয়ামোছা, রঙ আর লাইটিংয়ের কাজ। একই সাথে চলছে মুসল্লিদের মাঠে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার জায়গা নির্ধারণের কাজ।
এবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদ জামাত। মুসল্লিরা বলছেন দুই বছর পর লাখ লাখ মানুষ এক সাথে নামাজ পড়বেন। এজন্য তারা আনন্দিত।
ছয়টি চেকপোস্টে তল্লাশির পর মুসুল্লিদের মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধিও। সঙ্গে রাখা যাবেনা ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ছাতা।
মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। বসানো হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার।
এরই মধ্যে ঈদুল ফিতরের জামাতের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটি।
জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
নরসুন্দা নদীর তীরে ১৮২৮ সালে এক সাথে সোয়া লাখ মুসুল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এরপরই মাঠটির নাম হয় শোলাকিয়া। এবার অনুষ্ঠিত হবে ১৯৫তম ঈদ জামাত।
সাড়ে ৬ একর আয়তনের ঈদগাহে মাঠের ভেতরে স্বাভাবিক অবস্থায় ১ লাখ ৬৫ হাজার মুসল্লির ধারণক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিবছর ঈদ জামাতে অংশ নেন কয়েক লাখ মুসল্লি।
জাগরণ/জীবনযাপন/ঈদজামাত/স্বদেশ/এসএসকে