“১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধ চলছে পুরোদমে। ঢাকায় যাওয়া খুব কঠিন ছিল তখন। পথে পথে চলছে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের চেকিং। ধরা পড়লেই জীবন চলে যাবে। তবুও আমরা ঢাকামুখী হলাম। সঙ্গে ছিল এক্সপ্লোসিভ ও গোলাবারুদ। পঁচিশ কেজি করে ভার বহন করতে হয়েছে প্রত্যেককেই। কোথাও পায়ে হেঁটে, কোথাও রিক্সায়, কোথাও বা নৌকায় এগোই আমরা।
নরসিংদী আসতেই বাধা পড়ে। ওখানে একটা গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে আর্মিরা। টহলও চলছে চারদিকে। সর্তক হয়ে একটা বাড়িতে লুকিয়ে থাকি। নাওয়া-খাওয়া ছাড়াই কাটে আট দিন। মৃত্যুভয়ে কাটত প্রতিটা মুহূর্ত। তবুও সেই ভয়কেই তুচ্ছ ভেবে এগিয়ে যেতে হয় আমাদের।
আমরা হাইড-আউট ক্যাম্পটি করি ঢাকার কাছে, ডেমরায়। গ্রামের নাম আমুলিয়া মেহেন্দিপুর। জামদানি শাড়ি বানাতো গোটা গ্রামের মানুষ। জসিম নামে একজনের চেহারা এখনও মনে ভাসে। যথেষ্ট সাহায্য করেছিল তারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত ওই গ্রামের মানুষেরা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের ঋণ শোধ হবার নয়।
ক্যাম্পে ছিলাম চল্লিশ জন। কমান্ডে সাদেক হোসেন খোকা (প্রয়াত মেয়র)। ওখান থেকে বেরিয়ে ঢাকার ভেতরে গেরিলা অপারেশন করে আবার ফিরে আসতাম। ঢাকার কিছু গ্রুপ খবরাখবর দিত। আবার নিজেরাও যেতাম রেকি করতে। বন্ধু জগলু আর মামাতো ভাই শহিদ নানা মেসেজ দিয়েও সাহায্য করেছে। ‘খোকা’ গ্রুপের গেরিলা হিসেবেই পরিচিত ছিলাম। ঢাকায় গেরিলা অপারেশন করেছি দুই নম্বর সেক্টরের অধীনে।
প্রাদেশিক ইলেকশন কমিশন অফিস তখন ছিল মোমিনবাগে, রাজারবাগের উল্টো পাশে। দুটো ভাড়াবাড়িতে চলত তাদের কাজ। দেশে তখন পুরোদমে যুদ্ধ চলছে। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচিত এমপিএ আর এমএনএ সদস্যরা স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে চলে গেছেন মুক্তাঞ্চল ও ভারতে। এ সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ফন্দি আঁটে। নির্বাচিত ওই সকল এমএনএ ও এমপিএ-দের পদ শূন্য ঘোষণা করে আসনগুলোতে উপনির্বাচনের গোপন প্রস্তুতি নিতে থাকে তারা। এ খবর পেয়েই সিদ্ধান্ত নিই প্রাদেশিক ইলেকশন কমিশন অফিসটি উড়িয়ে দেওয়ার। এতে বিশ্ব গণমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়বে ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের খবর। ফলে চাপের মুখে পড়বে পাকিস্তান সরকার। খোকা ভাইয়ের নেতৃত্বে ওই অপারেশনে অংশ নিই আমি, লস্কর, সুফি আর হেদায়েত। জায়গাটা রেকি করে আসি একদিন আগেই।
সময়টা ১ নভেম্বর ১৯৭১। রোজার মাস ছিল। ঢাকায় যখন ঢুকি রাত তখন আটটার মতো। তারাবির নামাজ চলছে। রাস্তাঘাট সব ফাঁকা। ওই সময়েই বিল্ডিংয়ে ঢুকে ১২ পাউন্ড এক্সপ্লোসিভ ফিট করি আমরা। অতঃপর বেরিয়ে এসেই বিস্ফোরণ ঘটাই। গোটা ঢাকা শহর তখন কেঁপে ওঠে। বিল্ডিংয়ের এক পাশ ধসে পড়ে। আগুনে পুড়ে ছাই হয় ইলেকশন কমিশন অফিসের সব কাগজপত্র। ওখানে থাকা এক দাড়োয়ানও মারা যায়।
স্মুদলি আমরা অপারেশনটা করি। কিন্তু শেষ করতে বেজে যায় রাত বারোটা। পাকিস্তানি আর্মি তখন ঢাকার রাস্তায় টহলে নেমেছে। ক্যাম্পে ফেরার কোনো উপায় নেই।
গলির পথ দিয়ে আমরা মালিবাগের এক মেসে গিয়ে আশ্রয় নিই। মেসটির ওপরে টিন। চারপাশে বেড়া। কর্মজীবী কিছু লোক থাকত সেখানে। ঢুকেই বলি—‘একটু আগে বিস্ফোরণের যে আওয়াজ হয়েছে সেটা আমরাই করেছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা।’ কথা শুনে আর অস্ত্র দেখে থরথর করে কাঁপছিল তারা। প্রথম কোনো মুক্তিযোদ্ধা দেখছে। তবু রাতে আমাদের থাকার কথা শুনেও ভয় পেল না; বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমাদের সাহায্য করল।
মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়াটাও তখন ছিল আরেক যুদ্ধ। পাকিস্তানি সেনারা টের পেলেই সবাইকে হত্যা করত। মেসের পাশেই ছিল পিডিবির একটি অফিস। সেটা পাহারা দিচ্ছে পাকিস্তানি আর্মিরা। ফলে ওই মেসে থাকাটা ছিল প্রচণ্ড ঝুঁকির।
ওই রাতে মেসের লোকেরা তাদের জন্য রান্না করা খাবার আমাদের খাওয়ায়। তাদের বিছানাতেই থাকতে দেয়। আমাদের বাঁচাতে রাতভর পালা করে বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারাও দিয়েছিল তারা। অতঃপর খুব ভোরে সেখান থেকে ফিরে যাই ক্যাম্পে। মেসের ওই মানুষগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। ওই রাতে তাদের সাহায্য না পেলে হয়তো ধরা পড়তে হতো। তাই মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদানের ইতিহাসও তুলে আনা প্রয়োজন।”
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় গেরিলা অপারেশনের নানা স্মৃতিচারণ এভাবেই করছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক নান্টু।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তোলা অস্ত্র হাতে রফিকুল হক নান্টুর একটি ছবি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয় মালিটোলার শহিদ নাদের গুণ্ডার ছবি হিসেবে। ফলে রাগে, দুঃখে আর ক্ষোভে নীরব হয়ে যান গেরিলা যোদ্ধা নান্টু। নিজেকে আড়াল করে রাখেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টিও সহজে দেন না। বুকে জমে থাকা কষ্টের মেঘগুলোকে নিয়েই কাটছে তাঁর জীবন। একজন মুক্তিযোদ্ধার মনের অতলে জমে থাকা মেঘের রাজ্যে বৃষ্টি ঝরাতেই তাঁর মুখোমুখি হই।
চার ভাই ও পাঁচ বোনের সংসারে নান্টু সবার ছোট। বাবা আব্দুল হামিদ ভুঁইয়া চাকরি করতেন ক্যালকাটা কর্পোরেশনে। মা নছিমুল নেসা ছিলেন গৃহিনী। রফিকুলের পৈতৃক বাড়ি বিক্রমপুরের কাজী কসবা গ্রামে হলেও তাঁর জন্ম কলকাতায়। একবার হিন্দু-মুসলিম রায়ট হলে তারা কলকাতা থেকে চলে আসেন ঢাকায়, ওয়ারীর এক নম্বর চণ্ডিচরণ বোস লেনে।
নান্টুর লেখাপড়ায় হাতেখড়ি সেগুনবাগিচায়, কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। কিছুদিন তিনি লেখাপড়া করেন লক্ষ্মীবাজারে, বাংলাবাজার কিন্ডারগার্টেনে। পরে ভর্তি হন শাহীন স্কুলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন ক্লাস টেনের ছাত্র।
নান্টু বেড়ে ওঠেন গোপীবাগ ও কমলাপুর সার্কেলে। তাঁর কাছের বন্ধু ছিলেন প্রয়াত পপ সম্রাট আজম খান, জগলু, সালাউদ্দিন, বাদশা, নান্নু। একটু সিনিয়র ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা ও জিন্না। সে সময় পিডব্লিউডি-তে বেশ কিছু অবাঙালি অফিসার ছিলেন। তাদের ছেলেরা করতো গুণ্ডামি। এক ইঞ্জিনিয়ারের ছেলের নাম ছিল রিজভী। এজিবি কলোনির মাঠে খেলা নিয়ে প্রায়ই সে রফিকুলদের ওপর চড়াও হতো। দুপক্ষে চলত ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া । ফলে পাকিস্তানিদের প্রতি তাদের মন ক্রমেই বিষিয়ে উঠতে থাকে।
৬৯-এর গণআন্দোলনে রফিকুলদের এলাকায় নেতৃত্ব দিতেন সিদ্দিকী, মুকুল, আলম খান প্রমুখ। সাদেক হোসেন খোকা, জগলু, টিপু, মুরাদ ও নাসিমের সঙ্গে তিনি যেতেন পল্টনের মিছিল-মিটিংয়ে। কণ্ঠ আকাশে তুলে স্লোগান দিতেন— ‘তোমার আমার ঠিকানা—পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’, ‘তুমি কে, আমি কে—বাঙালি বাঙালি’। এভাবে ছাত্রনেতাদের বক্তব্য থেকেই জেনে যেতেন পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি নানা বৈষম্য।
জুন মাস পর্যন্ত নান্টু ছিলেন ঢাকাতেই। ২৫ মার্চের পর গোপীবাগ মোড়েই আর্মিরা টহল দিতো। তখন গোপনে হাতবোমা বানাতেন তারা। সলতে লম্বা করে তাতে আগরবাতি জ্বালিয়ে আট-দশ জায়গায় ফিট করে রেখে আসতেন। বোমাগুলো ফুটলে বিকট আওয়াজ হতো। পাকিস্তানি সেনারা তখন ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি বাড়ি হানা দেয়। তারা কমবয়সী ছেলেদেরও ধরে নিয়ে যেতে থাকে। ফলে তারা বোমা ফাটানো বন্ধ রাখেন। জাকির, খোকা, জগলু, পিনু, অপু মিলে ছিল তাদের একটি গ্রুপ। স্বাধীনতার স্বপ্নে সবাই একে একে দেশ ছাড়তে থাকেন।
নান্টু তখন কী করলেন?
“যুদ্ধে যাওয়ার প্ল্যান করি জাকির ও মুল্লুকজানের সঙ্গে। বিয়াই জালাল ও মঙ্গলও যুক্ত হয় সঙ্গে। জুন মাসের শেষ দিকের কথা। এক সকালে না বলেই বাড়ি থেকে চলে যাই নরসিংদী। সেখান থেকে লঞ্চে করে কোসঘর পৌঁছি। পরদিন সিএমবির রাস্তা পার হয়ে বর্ডার ক্রস করে চলে আসি আগরতলায়। সিপিএম অফিসে যেতেই একটা ঠিকানা লিখে দিলে চলে যাই মেলাঘর ট্রেনিং ক্যাম্পে। চতুর্থ ব্যাচে একুশ দিন ট্রেনিং হয় আমাদের। ছিলাম এগারো নম্বর প্লাটুনে। প্লাটুন কমান্ডার ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। হাবিলদার আজম শেখান থ্রি নট থ্রি চালানো। এরপরই থার্টিসিক্স হ্যান্ড গ্রেনেড থ্রো করায়। এক্সপ্লোসিভ ও হ্যান্ড গ্রেনেডের মাস্টার ট্রেনিং করান হাবিলদার মনির। আর গেরিলা অপারেশন শিখি ক্যাপ্টেন হায়দারের কাছে।”
ট্রেনিং শেষে নান্টুদের প্রথম পাঠানো হয় বর্ডারের কাছে, নয়নপুর ও মন্দবাগে। তখন তাদের কমান্ড করতেন তাহের চৌধুরী। কিছুদিন যুদ্ধ করার পর গেরিলা অপারেশনের জন্য তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকায়।
তাঁর ভাষায়— “প্রথম অপারেশন করি হাইড-আউটের পাশেই, আদমজী বিলের কাছে। তিতাস গ্যাসের পাইপ লাইন ছিল সেখানে। সেটা দিয়েই গ্যাস যায় ঢাকাতে। আজম খান বলল—‘এটা উড়িয়ে দিলে ঢাকা অচল হয়ে যাবে।’ দশ পাউন্ড এক্সপ্লোসিভ পাইপে পেঁচিয়ে ডেটোনেটর দিয়ে এক রাতে বিস্ফোরণ ঘটাই আমরা। আগুন তখন অনেক উঁচু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। দুপাশের কালভার্টে পাকিস্তানি আর্মির গার্ড ছিল। আগুনের ভয়ে তারা লাফ দেয় পানিতে। সাঁতার জানত না। ফলে সকালে দুই পাকিস্তানি সেনার লাশ ভেসে ওঠে। তা দেখে আর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়। সন্দেহবশত জ্বালিয়ে দেয় পাশের একটি গ্রাম। এভাবে আরেক রাতে ডেমরা রোডেই ট্রেসার রাউন্ড দিয়ে তেলবাহী একটা ট্যাংকারেও হিট করি আমরা। অনেকদূরে গিয়ে সেটিও বিস্ফোরিত হয়।
ডিএফপি অফিস তখন ছিল শান্তিনগরে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর সৃষ্টির জন্য আমরা সেখানে হিট করার প্রস্তুতি নিই। মেজ ভাইয়ের অফিস ছিল সেটা। তাই রেকি করার দায়িত্ব পড়ে আমার ওপর। সব খবর নিয়ে এসে আমি খোকা ভাইকে দিই। ওইদিন ছিল আখেরি জুমা। দুপুরে বায়তুল মোকাররমের নিউজ কাভার করে ফিরেছে সবাই। দুপুর তিনটার পর আমরা ডিএফপি-তে ঢুকি। অফিসে কেউ নেই তখন। তিন তলায় সিঁড়িঘরে থাকা দারোয়ানকে বের করে দিই প্রথম।
টেবিলের ওপর ১২ কেজি এক্সপ্লোসিভ আমরা ফিট করি। বিস্ফোরণে যাতে স্টিলের টুকরোগুলো স্প্লিন্টার হিসেবে কাজ করে সে কারণে স্টিলের আলমেরিটাকেও এক্সপ্লোসিভের ওপর চাপ দিয়ে ফেলে রাখি। ঘটলও তাই। বিস্ফোরণে পুরো বিল্ডিংটাই উড়ে যায়। দ্রুত একটা মাইক্রোবাসে আমরা সরে পড়ি। ওই অপারেশনটির খবর ফলাও করে প্রচারিত হয়েছিল ভয়েস অব আমেরিকা, আকাশবাণী, বিবিসি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে। ফলে আমাদের মনোবল ও সাহস যায় বেড়ে।
আজিমপুরে পিলখানার কাছেই ছিল সহযোদ্ধা লস্করদের বাড়ি। চায়না বিল্ডিং বললে সবাই এক নামে চিনত। ওটা ছিল ঢাকায় গেরিলাদের একটা অবজারবেশন পোস্ট (ওপি)। বাড়ির ছাদে স্ট্যান্ডে ফিট করা থাকত মেশিনগান। আমরাও মাঝেমধ্যে যেতাম বাড়িটিতে। একদিন চাইনিজ স্টেনগান নিয়ে বাড়ির ছাদে উঠেছি। তখনই সহযোদ্ধা ইকবাল আহমেদ সুফি আমার দুটি ছবি তুলে। একটি স্ট্যান্ডে ফিট করা মেশিনগানে পজিশনরত এবং অন্যটি স্টেনগান হাতে দাঁড়ানো। ওই ছবিগুলোর দিকে তাকালেই একাত্তরটা মনে পড়ে যায়।”
মুঠোফোনে আমাদের আলাপ হয় মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল আহমেদ সুফির সঙ্গে। ওই ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পারিবারেকভাবেই অনেক আগে থেকেই আমি ছবি তুলতাম। একাত্তরে নান্টুর দুটো ছবিই তুলেছিলাম ফ্লেক্সারেট ক্যামেরা দিয়ে। অনুমতি ছাড়া ও ভুল পরিচয়ে ওই ছবি ব্যবহার একেবারেই উচিত হয়নি। একাত্তরের এমন ছবিগুলোই এখন প্রামাণ্য দলিল। প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের ভুল ছবি তুলে ধরলে তারা যেমন বিভ্রান্তিতে পড়বে তেমনি ঘটবে ইতিহাস বিকৃতিও। তাই স্যোশাল মিডিয়ার তথ্য নিয়ে প্রজন্মকে আরও সর্তক থাকতে হবে।’
গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা নান্টু কেমন বাংলাদেশ চান?
দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেন, “ভালো বাংলাদেশ চাই। পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশ চাই। ভালো দেশের নাগরিক হিসেবে বাঁচতে চাই। যে সরকার দেশকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারবে, সে সরকারের শাসন চাই। দুর্নীতি সব উন্নয়নকেই বির্তকিত করবে। তাই এটা দেখা উচিত কঠোরভাবে। প্রকৃত লোকদের কাজে লাগাতে হবে।”
ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলেই প্রজন্ম দেশটাকে আরও এগিয়ে নিতে পারবে—এমনটাই বিশ্বাস গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক নান্টুর। আশায় বুকবেঁধে তাদের উদ্দেশে তিনি শুধু বললেন— “যদি দেশের সঠিক ইতিহাস ও বীরত্বের কাহিনি জানো, তবেই বীরের মতো তোমরা এগোতে পারবে। মনে রেখো, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসই তোমাদের পথ দেখাবে।”
লেখক : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক