দ্বীপ
তুমি এমন জোরে চিৎকার করো যেন লঞ্চের ভেঁপু, জানান দিচ্ছো দুই পাড়ে
আমি দেখছি কবেই উপড়ে গেছে নোঙর, পড়ে আছে উদ্দেশ্যহীন।
তুমি ভাবছো খুলে দেয়া পাল, উড়ন্ত চুল, নীল শুভ্র মেঘ, দুশ্চিন্তা লীন।
একটা নিজস্ব দ্বীপ, তোমার নিজস্ব দ্বীপ, শত ঝিনুকের মাঝে মুক্তো খুঁজছো
ঢেউ আছড়ে পড়ে পায়ে, অমন করে কেউ আছড়ে পড়েনি পায়ে, তাই তোমার অত শত রাগ
নিজেকে দেখতে চাও, দেখো । আমি এখানেই দাঁড়িয়ে, পাঁক খায় বাতাসের হল্লা হুতাশ।
ডান পায়ে ঢেউ, হালকা উষ্ণ, বাম নখে উঠে আসে বোতলের ছিপি, ছেঁড়া দড়ি।
দড়ি খুলে গিয়েছে যে জাল তার প্রতি বুননে বুননে কি থাকে রূপচাঁদা মাছ, রুপোলি ইলিশ?
মনে কি হয় তোমার কখনো ওতে হাঙর ওঠে, মাঝরাতে চাঁদ কাঁদে, প্রিয় ডলফিন মারা যায়?
তুমি খুঁজে গেছো স্থান, কোমর অবধি জলে তুমি ছিলে, আছো তাই।
ফিউশন
একঘেয়ে বর্তমান খেয়ে দিচ্ছে ঘর
উভয়সঙ্কট হলো সর্বোত্তম জ্বালানি
বাতাস বইছে, চিকচিক করছে কয়লা।
জানালায় থাই অ্যালুমিনিয়ামের গ্লাস। ফিনফিনে পর্দায় ঢাকতে চাইছে
ওপাশের ভবিষ্যতের জন্য পেছনের কিছুটা অতীত।
ফার্নিচার চাদরে নানা কনট্র্যাস্ট,
মানুষও তেমনই,
ভেতরের সংমিশ্রণ
মডার্ন ও মিথ।
মাঝে মাঝে অতিথি আসে। কোনো কোনো আগন্তুক নিরুপদ্রোব
কারো চেহারাই সংঘর্ষ, ক্ল্যাশ, পিন হোলড, ক্র্যাক্ড
স্টেট অফ মাইন্ড তখন নিদারুণ ফ্র্যাকচারড
এত সমস্ত ফিউশন
সিদ্ধান্ত অনুভূতিপ্রবণ
এড হক বেসিস।
দিনের অনেকটা সময় কাটে পরিষ্কারে
অতি সহজেই আমাদের আয়নাগুলো ময়লা হয়
আশার কথা, আমরা অনবরত ঘষে যাচ্ছি।