করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এর মধ্যেই চলছে বইমেলা। তবে মেলায় নেই ক্রেতা-পাঠক।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকজন পাঠক-প্রকাশক ছাড়া মেলা প্রাঙ্গণ প্রায় শূন্য। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। কিন্তু দীর্ঘ সময় পর পর দু-একজন পাঠক এলেও বেশির ভাগই ফিরে যাচ্ছেন বই না কিনেই।
মেলায় আসা একজন পাঠক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা একটা হাস্যকর মেলায় পরিণত হয়েছে। একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে খোলা বইমেলা। বন্ধ গণপরিবহনও। তাহলে মানুষজন কীভাবে মেলায় আসবে?”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকাশক বলেন, “এটা সরকার ও মেলা কমিটির সিদ্ধান্তহীনতার অভাব। সবকিছু বন্ধের মধ্যে লেখক-পাঠক-ক্রেতারা কীভাবে আসবে তা না চিন্তা করেই মেলা খোলা রাখা হয়েছে। মেলা কমিটি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল তা বোধগম্য নয়।”
পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর একজন বিক্রেতা বলেন, “আমরা একজন ক্রেতার কাছে বই বিক্রি করতে পেরেছি। এটাই মনে হচ্ছে অনেক বেশি বিক্রি করে ফেলেছি। এটাই আমাদের শুরু এবং শেষ।”
ক্ষোভের সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “লকডাউনে আমরাই আসতে পারি না, ক্রেতা-পাঠকেরা কীভাবে আসবেন?”
এ পরিস্থিতির সমাধান কী? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এর কোনো সমাধান নেই। মেলা যত দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হবে, ততই সবার জন্য মঙ্গল।”
প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। তবে এবার করোনাভাইরাসের কারণে তা শুরু হয় ১৮ মার্চ। শুরুতে বইমেলা ছুটির দিন ব্যতীত বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চললেও পরবর্তীকালে পরিবর্তন করা হয় সময়। সবশেষ রোববার (৪ এপ্রিল) করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার দেশজুড়ে কঠোর নির্দেশনা জারি করলে বইমেলার সময় কমিয়ে দুপুর ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত করা হয়।