ড. আতিউর রহমানঃ

রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু এই দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালিই পথ দেখাচ্ছেন

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২২, ০৭:৩৫ পিএম রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু এই দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালিই পথ দেখাচ্ছেন
ছবি- জাগরণ।

“রবীন্দ্রনাথ এবং বঙ্গবন্ধু দুজনই ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছেন এবং দুজনই ছিলেন কৃষকবান্ধব ও অসাম্প্রদায়িক। এই দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালিই তাই আমাদের পথ দেখিয়েছেন, এখনও দেখাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও দেখাবেন। তাই এঁদের জীবন, কর্ম ও দর্শনকে আমার গবেষণার কেন্দ্রীয় জায়গায় রাখতে চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্র একাডেমির রবীন্দ্র সম্মাননা পাওয়ায় তাই নিজেকে বিশেষ সৌভাগ্যবান মনে করছি।”- বলেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

রবিবার (২০ মার্চ, ২০২২) জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে রবীন্দ্র একাডেমির ‘রবীন্দ্র সম্মাননা ২০২২’ গ্রহণ কালে তিনি এ কথা বলেন।

তাঁর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান। উত্তরীয় পরিয়ে দেন একাডেমির সভাপতি কবি আজিজুর রহমান আজিজ। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. শাহেদ, অধ্যাপক শফি আহমেদ এবং কলকাতা থেকে আগত রবীন্দ্র-গবেষক মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়।

রবীন্দ্রনাথ বাঙালির মুক্তির জন্য এমন একজন মানুষের খোঁজ করে গেছেন যাঁর সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা গেলে পুরো সমাজের  সাথেই সংযোগ রক্ষা করা হয়। বঙ্গবন্ধু তেমনই একজন গণমানুষের নেতা হওয়ার কারণেই আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক হয়েছেন বলে মনে করেন ড. আতিউর।

এই দুই জনের ভাবনা ও দর্শনের যেমন সাদৃশ্য রয়েছে তেমনি অনুশীলনের ক্ষেত্রেও এই মিল খুঁজে পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ যেমন দান বা হিত-এর পরিবর্তে পারস্পরিক প্রীতিকেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুও মানুষের অক্ষয় ভালোবাসাকে তাঁর মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেছেন। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

ড. আতিউর মনে করেন লড়াই করে এগিয়ে যাওয়ার যে মানসিকতা বঙ্গবন্ধু দেশবাসীর মধ্যে তৈরি করে গেছেন তার জোরে এসব প্রতিকুলতা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

 

এসকেএইচ //