আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এখন সময়ের ব্যাপার। এ দাবি পূরণ হবেই। এ দাবি মন্ত্রিপরিষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকালে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা : সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে কিন্তু সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি ওঠেনি। পচাত্তরের পর দীর্ঘ সময় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হওয়ায় তাদের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে এদাবি উঠেছে। তিনি বলেন, দীর্ঘ একুশটি বছর তারা বিচার পাওয়ার জন্য বিচার বিভাগের কাছেও যেতে পারেনি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানবাধিকারের ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্যও এ কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। আদালতে বিচারাধীন সংখ্যালঘুদের মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয় সেজন্য প্রোসিকিউশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলবেন বলেও তিনি জানান।
এসময় তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলকে নিয়ে বাংলাদেশ গড়তে চান, কেবল একটি গোষ্ঠীকে নিয়ে নয়।
অনুষ্ঠানের বাইরে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বৈষম্য রিরোধী আইন উপস্থাপনের লক্ষে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার সংক্রান্ত আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, আইনটি মন্ত্রিপরিষদের সভায় উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং এটা খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।
বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বক্তৃতা করেন।
জাহো/বিএস