রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও প্রত্যাবাসনে সমন্বিত কৌশল গ্রহণে ওআইসির সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসবাদ বন্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান এবং ধর্মের নামে বিশ্বব্যাপী চলা সন্ত্রাসের তীব্র সমালোচনা করে সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটনে ৪ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে দেয়া হবে না।
শুক্রবার (৩১ মে) সৌদি আরবের মক্কায় ওআইসির ১৪তম সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত।'
তিনি আরও বলেন, 'আবুধাবির কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জবাবদিহিতা ও বিচার সম্পর্কিত প্রশ্নের সম্মুখীন করতে আন্তর্জাতিক আদালত একটি পথ তৈরি করেছে। এই প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার জন্য আমরা গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মিয়ানমারে সৃষ্ট গণহত্যা ও সহিংসতাকে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা। এর আগে আমরা স্বেচ্ছাসেবক তহবিল ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে আপিল করি।'
শুক্রবার বিকেলে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। এসময় দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
৩১শে মে ও ১লা জুন ওআইসির ১৪তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন শেখ হাসিনা। তেসরা জুন ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে জেদ্দা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ দিনের সফর শেষে ৮ই জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
তথ্যসূত্র: ইউএনবি।