ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানী থেকে রিকশা তুলে দেয়া হচ্ছে না। শুধু কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ পর্যন্ত সড়ক (প্রগতি সরণি) এবং মিরপুর রোডে (গাবতলী থেকে ধানমন্ডি-২৭ সড়ক) রিকশা চলাচল বন্ধ এবং ফুটপাতও সড়কের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে ভেতরে রাস্তাগুলোতে রিকশা চলাচল করবে।
মেয়র বলেন, রাজধানীর যে সকল সড়কে রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে,তা মেনে নিতে হবে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে ডিএনসিসির গুলশান-২ এর নগর ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রিকশা বন্ধও ফুটপাতের দখল উচ্ছেদের এ ঘোষণা দেন মেয়র।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন,‘ডিএনসিসির যে দুটি রুটে রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই রুটে ৭ জুলাই থেকে সম্পূর্ণরূপে রিকশামুক্ত থাকবে। পাশাপাশি ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আগামীকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করবে। এর আগে রিকশা মালিক সমিতির নেতা,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি,ওয়ার্ড কাউন্সিলর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
বৈধ-অবৈধ রিকশা সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র অতিকুল ইসলাম বলেন,ঢাকা উত্তর সিটিতে বৈধ রিকশার সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৭০টি। আর অবৈধ রিকশার সঠিক হিসাব নেই। দ্রুত সব নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা হবে।
সভায় রিকশা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ঢাকা শহরের সকল অবৈধ রিকশা তুলে দেয়ার দাবি ওঠে। তাদের সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র বলেন,‘আমরা পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ রিকশা রাজধানী থেকে তুলে দেব। এছাড়া আগামীকাল রোববার থেকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে,তা সকলকে মেনে চলতে হবে। রাজধানীতে চলাচলকারী সকল অবৈধ হিউম্যান হলার বন্ধে ট্রাফিক বিভাগকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মেয়র।
মেয়র বলেন,‘ডিএনসিসি এলাকার সকল ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আগামীকাল থেকে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। যেখানে যেখানে অবৈধ দোকান,অবৈধ দখলদার পাওয়া যাবে তাদের জরিমানা করা হবে। ফুটপাতকে সম্পূর্ণরূপে দখলমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন,‘প্রগতি সরণি থেকে রামপুরা হয়ে মালিবাগ পর্যন্ত রিকশামুক্ত সড়কে ৭৪টি ক্রসিং রয়েছে। এ সকল ক্রসিংয়ের রিকশাগুলো ভেতরের রাস্তায় চলতে পারবে তবে কোনোভাবেই প্রধান সড়কে আসতে পারবে না। এরইমধ্যে বাস স্টপেজ ও গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য একে এম রহমাতুল্লাহ,ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক রাকিবুর রহমান,ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই,ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদও বাড্ডা থানার (ওসি )রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
টিএইচ/বিএস