রোববার (৭ জুলাই) থেকে রাজধানীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল করতে পারবে না।
যানজট নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন এই ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে ডিএসসিসির নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথোরিটি (ডিটিসিএ) গঠিত কমিটির বৈঠকে রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত হয়। রোববার থেকে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
ঘোষণা অনুযায়ী- গাবতলী থেকে আজিমপুর (মিরপুর রোড), সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শাহবাগ ও কুড়িল থেকে খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। একই সময় নগরীর বিভিন্ন রুটে অবৈধ ও অ-অনুমোদিত যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
ওইদিন গণমাধ্যমকে মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ ধীর গতির রিকশা। এসব যানের অধিকাংশের অনুমোদন নেই। এ ছাড়া নগরীতে অসংখ্য ফিটনেসবিহীন যান চলাচল করছে। যাতায়াতের সময় রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে সে সব ফিটনেসাবিহীন যানবাহন। তখন সৃষ্টি তীব্র যানজটের। তাই নগরীতে সড়কপথে শৃঙ্খলা আনতে প্রাথমিকভাবে এই তিনটি প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
তিনি জানন, এই সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ার পর নাগরিকদের যেন চলাচলে সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিবহন মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) পর্যাপ্ত বাস সেবার ব্যবস্থা করবে। ফুটপাতে পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। একই সঙ্গে ফুটপাতের ওপর থাকা ভবনের র্যাম্প অপসারণ করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
সাঈদ খোকন জানান, সাত দিন পর বৈঠকে বসে এ সব কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে।
গত ১৯ জুন (বুধবার) ডিটিসিএর এক বৈঠকে ‘ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন দূর/বন্ধ, ফুটপাথ দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে’ একটি কমিটি গঠন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই কমিটিতে ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে আহ্বায়ক করা হয়। অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এই কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
আরএম/এসএমএম