মহিলা পরিষদের তথ্য

প্রথম ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার ২০৮৩ জন নারী ও কন্যা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম প্রথম ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার ২০৮৩ জন নারী ও কন্যা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম-ছবি : জাগরণ

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ মোট ২০৮৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মহিলা পরিষদ।

সোমবার (৮ জুলাই) মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘বর্তমান জাতীয় পরিস্থিতি, অব্যাহত নারী-শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদ ও সামাজিক নিরাপত্তার দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

মহিলা পরিষদের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মডারেটর ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিলা পরিষদের লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি পরিচালক অ্যাডভোকেট মাকছুদা আখতার লাইলী।

মহিলা পরিষদ সংরক্ষিত ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে এ তথ্য দিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘দেশে এ সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৭৩১টি। তার মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৫৯২ জন, গণধর্ষণের শিকার ১১৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২৬ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১২৩ জনকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নারী ও কন্যাদের উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা নিত্যদিনের খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে ২০১৪-২০১৮ এই সময়কালে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ মোট ৫২৭৪ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৩৯৮০ জন। তারমধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৪৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৪৯ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৭৩০ জনকে।

সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, সারাদেশে নারী ও শিশুদের সহিংসতার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা অতীতের যে কোনও সময়ের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে।

মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ সকল জনগণের উদ্যোগে প্রচার অভিযান এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি নারী আন্দোলনের এই সুপারিশগুলোকে গুরুত্বে সাথে বিবেচনা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রলালয়ের কাছে আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নারী ও কন্যার প্রতি এই ধরনের সহিংসতা নারীর অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করছে এবং নারীর স্বাধীন চলাচল ও উন্নয়নের ধারার গতি ক্রমান্বয়ে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। সমাজের মধ্যে নানা ধরনের অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার বিষয়টি একটি বিশেষ পরিস্থিতি হিসেবে ঘোষণা করে সমগ্র জাতিকে এই বিষয়টিকে জাতীয় সমস্যা বিবেচনা করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

সংবাদ সম্মলনে অন্যান্যের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ, সীমা মোসলেম, সহ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম, লিগ্যালঅ্যাইড সম্পাদক সাহানা কবীর ছাড়াও সহ সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, হান্নানা বেগম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রেখাসহ কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগর কমিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালক ছিলেনঅ্যাডভোকেসি পরিচালক জনা গোস্বামী।

টিএস/এসএমএম

আরও সংবাদ