কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ সড়কে রিকশা চালকদের বিক্ষোভ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ১১:১২ এএম কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ সড়কে রিকশা চালকদের বিক্ষোভ
বিক্ষোভ করছেন রিকশা চালকরা- ছবি: জাগরণ

রাজধানীর প্রধান তিনটি সড়কে রিকশা চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন রিকশা চালকরা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ সড়কের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে রিকশা চালকরা। এ কারণে সড়কের উভয় পাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 

রিকশা চালকদের দাবি, প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। গতকালের মত আজও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুরগামী সব যাত্রীরা। একইভাবে খিলগাঁও, রামপুরা বাজার, রামপুরা ব্রিজ, উত্তর বাড্ডা, মেরুল বাড্ডা এবং কুড়িল এলাকায়ও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। যানবাহনগুলো আটকা পড়েছে। আন্দোলনের কারণে এসব যানবাহনের যাত্রীরা নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

বিক্ষোভকারী রিকশা চালকদের একজন নূর উদ্দিন বলেন, ‘সরকার ঘোষণা দিয়েছে মেইন রোডে রিকশা চালানো যাবে না। কিন্তু এ ঘোষণা মানলে আমাদের না খেয়ে থাকা লাগবে। কারণ শুধু গলির রাস্তায় রিকশা চালিয়ে তেমন ভাড়া পাওয়া যায় না।’

আরেক চালক আল আমিন বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায়ে গতকালও বিক্ষোভ করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছি না দাবি মেনে নেয়ার।  আজও সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করেছি। আজও দুপুর ১টা-২টা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যদি কোনো আশ্বাস না পাই, দিনভর রাস্তায় আন্দোলন করব। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

এদিকে, সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে এবং বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে সড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আন্দোলন থেকে সরে আসতে তাদের অনুরোধ জানাতেও দেখা যায় পুলিশ প্রশাসনকে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কুদ্দুছ ফকির বলেন, ‘সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রিকশা চালকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যে, সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন হতে পারে না। দাবি নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলুক।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রিকশা চালকরা যাতে কোনো ভাঙচুর কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সে জন্য আমরাও সড়কে আছি।’

উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই ঢাকা সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ-উত্তর) ও ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) সমন্বিত বৈঠকে ঢাকার তিন রুটে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ হওয়া রুটগুলো হলো- গাবতলী থেকে আজিমপুর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে শাহবাগ মোড়, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সায়েদাবাদ রুট।


টিএইচ/টিএফ

আরও সংবাদ