গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেবেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

রোববার শুরু হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৮:২৬ এএম রোববার শুরু হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন


আগামী ১৪ জুলাই রোববার শুরু হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলন চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত। এবারের ডিসি সম্মেলনের সময় বাড়ছে দু’দিন। রোববার সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের ‘শাপলা’ হলে এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনকে সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেয়া সিদ্ধান্ত ও কার্যসূচি আজ বুধবার পাঠানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের পর সম্মেলনের অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, প্রতি বছরের মত এবারও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সম্মেলন উদ্বোধনের পর মুক্ত আলোচনায় মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে শুনবেন ও নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সম্মেলনে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করবেন ডিসিরা। 

ডিসি সম্মেলন চলাকালে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব, সচিবরা বিভিন্ন অধিবেশনে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মূল্যবান উপদেশ ও দিক-নির্দেশনা দিবেন। কর্ম অধিবেশনগুলো হবে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে। কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

ডিসি সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।  গত দু’দিন ধরে প্রস্তুতি বৈঠক করছে এই বিভাগ। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ডিসিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবেন। দ্বিতীয় দিনে টানা ছয়টি কার্য-অধিবেশনে ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রী-সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ডিসিরা। এরপর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বঙ্গভবনে। তৃতীয় দিন টানা ৫টি অধিবেশনে ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রী-সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত আছে। চতুর্থ দিনের জন্য নির্ধারিত ৮টি কার্য অধিবেশনে ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রী-সচিবদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। শেষ অর্থাৎ পঞ্চম দিনে ৪টি অধিবেশনে ৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বৈঠক নির্ধারিত আছে। এদিন বিকেলেই জাতীয় সংসদে স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্য দিয়ে শেষ হবে ডিসিদের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা।

দু’দিন সময় বাড়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, প্রতিবছর ৩ দিনের সম্মেলনে ২৫ থেকে ৩০টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অল্প সময়ে এত বৈঠক নিয়ে ডিসিদের আপত্তি ছিলো। বিষয়টি আমলে নিয়ে এবার ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনের পরিকল্পনা সাজিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 

এমএএম/আরআই

আরও সংবাদ