রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তাদের কারণে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। যত দ্রুত তারা ফিরে যাবে ততই মঙ্গল।
বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জলবায়ু অভিযোজন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, জলাবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ নামে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে। এরইমধ্যে সরকার তিন হাজার ৮৬৮টি বহুমুখী সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করেছে। আরও ১ হাজার ৩৫০টি করা হবে। এগুলো সাধারণত স্কুল বা অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়। তবে সাইক্লোন বা জলোচ্ছ্বাসের সময় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া দুর্যোগে যেন সুপেয় পানির অভাব না হয় সেজন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে সরকার বিভিন্ন সময় উপযোগী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দুর্যোগের ক্ষতিকর প্রভাব কমে এসেছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্লোবাল কমিশন অব অ্যাডাপটেশনের সহযোগিতায় আমরা চাচ্ছি, জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সঠিক অভিযোজনের কৌশল শিখতে। যে সুপারিশগুলো আসবে সেগুলো যেন স্মল আইল্যান্ড কান্ট্রিগুলো (ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশ) গ্রহণ করতে পারে। আমি শুধু আমার নিজের দেশের কথাই ভাবি না। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে অনেক দেশ হারিয়ে যাবে। সেখানকার মানুষগুলো কোথায় যাবে? তাদের কথাও ভাবি। সে কারণে আমি বাংলাদেশে রিজিওনাল অ্যাডাপটেশন সেন্টার গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের সভাপতি বান কি মুন। তাকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’
জেডএইচ/আরআই