কোরবানি বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে জনগণের সহায়তা চেয়েছে সরকার।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, সঠিক সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ না করলে চারদিকে দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে। নর্দমায় এ সমস্ত বর্জ্য ফেললে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বর্জ্যের চাপে ড্রেন বা নর্দমা বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কাও থাকে। আবার অল্প বৃষ্টিতে নর্দমা আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে। সচেতনতার অভাবে জবাইকৃত পশুর রক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় অংশ নর্দমাসহ যেখানে সেখানে ফেলার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই বিস্তারসহ পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে।
এ পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কোরবানি সময় শহর থেকে গ্রামের সর্বত্র সকলকে কিছু সামাজিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সরকার নির্ধারিত স্থানে ও পরিষ্কার জায়গায় পশু কোরবানি দিতে হবে। রক্ত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ধুয়ে ফেলতে হবে। মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ মাটিচাপা দিতে হবে। বর্জ্য অপসারণ এবং মাংস বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ ব্যবহার করাই উত্তম।
পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্য ও অন্যান্য উচ্ছিষ্ট যেখানে-সেখানে না ফেলে ব্যাগে করে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে। নাড়িভুড়ি বা এ জাতীয় বর্জ্য কোনভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা ঠিক নয়। নিজের ইচ্ছেমতো যত্রতত্র কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন মিলে একইস্থানে কোরবানি দিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা হয়। জীবাণু যাতে না ছড়ায় তার জন্য কোরবানির স্থানে ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক ছড়িয়ে দিতে হবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সরকার এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এমএএম/এসএমএম