উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়েও যারা ‘নৌকার’ বিরোধী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারা শোকজ নোটিস পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে চিঠি ইস্যু হবে। দেড়শ'র মতো বিদ্রোহীদের মদদদাতা হিসেবে তালিকায় রয়েছেন এমপি-মন্ত্রীরাও।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী ছিলো, তাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিলো। সেটার বাস্তবায়ন কীভাবে দ্রুত করা যায় সেটা বিষয়ে আলোচনা করেছি। আগামীকাল রোববার থেকে ১৫০ এর মতো শোকজ নোটিশ ইস্যু হবে। শোকজের জবাবের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপি-মন্ত্রী যারা মদদদাতা তারাও শোকজ পাবে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করতে চান নি তিনি। তিনি আরো বলেন, মদদদাতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাও থাকতে পারেন। যাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ও মদদ দেয়ার অভিযোগ আছে তারা সবাই শোকজ পাবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেই বলেছিলেন বিএনপি না আসলে নির্বাচন উৎসবমুখর করার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকবে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মাঠে নেমেছি, কিন্তু এখন আবার কেনো শাস্তি দেবে? তৃণমূলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেছেন, কোনো রেকর্ড আছে? হাওয়া থেকে বললে তো হবে না।
পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে বলেছিলেন উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটা অনেক আগের কথা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বি এম মোজাম্মেল হক, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
এএইচএস/বিএস