প্রতিদিনই করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিধি বাড়ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সামাজিক কারণেই যে এমনটা ঘটছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত ৭ দিনে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থান যাচাই করে দেখা গেছে, তাদের ৮ জনই নগরের পাহাড়তলী থানা ও আশপাশের বাসিন্দা। এ কারণে চীনের উহান ও নারায়ণগঞ্জের মতোই বন্দরনগরীর প্রবেশমুখের ওই এলাকাটিকে চট্টগ্রামে করোনার ‘ক্লাস্টার জোন’ মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নগর ও জেলায় শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার, ১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া দুই করোনা রোগীর একজন নগরের পাহাড়তলী থানার সড়াইপাড়া ও অপরজন ওই থানার কাট্টলী এলাকার এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে সড়াইপাড়া এলাকায় করোনা আক্রান্ত নারী (৫০) দুপুরে আইশোলসনে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, এক বৃদ্ধ ও এক নারীর মৃত্যু হলো করোনায়।
বুধবার (৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হন তিনজন। তাদের একজন ছিলেন পাহাড়তলী থানার সাগরিকা এলাকার বাসিন্দা। বাকি দুইজনের একজন পাহাড়লীর উত্তর পাশের উপজেলা সীতাকুণ্ড ও দক্ষিণ পাশের থানা হালিশহর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ জনকে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়, তাদের একজন ছিলেন পাহাড়তলীর পাশের থানা আকবর শাহ থানার ইস্পাহানী গেট ঝোলারহাট কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা। পরে শনিবার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রামে আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ১ জন ছিলেন পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকার দুলালাবাদ এলাকার বাসিন্দা। ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি কয়েক দিন আগে স্থানীয় কাঁচাবাজারে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৫ জন করোনারোগী শনাক্ত হয়। এদিন পাহাড়লীর পাশের উপজেলা সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় আরও এক করোনা রোগী শনাক্ত হন। অর্থাৎ, ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল এই ৭ দিনে ৮ জন নারী-পুরুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যারা নগরের পাহাড়তলী ও আশপাশের এলাকায় বসবাস করেন।
এসকে