কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট জালিয়াতি

নমুনা ফেলে ভুয়া রিপোর্ট তৈরির তথ্য জানতেন স্বাস্থ্য ডিজি!

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২০, ১১:৩২ পিএম নমুনা ফেলে ভুয়া রিপোর্ট তৈরির তথ্য জানতেন স্বাস্থ্য ডিজি!
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদ- ফাইল ছবি

নমুনা ফেলে দিয়ে হাজারো মনগড়া কোভিড-১৯ রিপোর্ট দেয়ার পর জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এখন দায়মুক্তির পথ খুঁজতে দিশেহারা। তিনি বলছেন, কোভিড নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ফেলে ভুয়া রিপোর্ট তৈরির প্রতারণার বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।

 নিজেকে প্রতিষ্ঠানের 'চেয়ারম্যান নন' বলে দাবি করলেও পুলিশ বলছে, তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া তার স্বামী আরিফুল। শিগগিরই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তারা।

করোনা পরীক্ষার মনগড়া রিপোর্ট দেয়া নিয়ে এখন আলোচনায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। অপকর্মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের সিইও, তার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জন কারাগারে। কিন্তু প্রায় ২০ দিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ডা. সাবরিনা।

অবশেষে গণমাধ্যমের ঘেরে ধরা পড়লেন তিনি। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাবরিনা বলেন, তিনি নাকি জেকেজির চেয়ারম্যানই নন।

সাবরিনা আরিফ বলেন, জেকেজির চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং এটা ওভাল কোম্পানির একটি অঙ্গসংগঠন। ওভাল গ্রুপ ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যেখানকার মালিক হচ্ছেন আরিফুর রহমান।

প্রায় ৩ মাস ধরে নমুনা সংগ্রহের নামে যে প্রতারণা করেছে জেকেজি, সে কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন সাবরিনাও। সে সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিজেকে চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। তবে এখন কেন পদ-পদবীর কথা অস্বীকার করছেন?

সাবরিনা এ বিষয়ে বলেন, আমি ওনাকে কাজ পাইয়ে দিয়েছি, দিতাম এটা পুরোপুরি মিথ্যে কথা। এখন অভিযোগ প্রমাণ হোক।
পুলিশ বলছে, জেকেজির প্রতারণা থেকে সাবরিনার কোনোভাবেই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ তার স্বামী আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাবরিনার সক্রিয় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

এসপি হারুন বলেন, সাবরিনার কথাও এসেছে। আমরা যখন এমডিকে জিজ্ঞাসা করেছি তখন সে বলেছে, চেয়ারম্যান আমার স্ত্রী।
তবে তাকে এখনো কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?

এসপি হারুন বলেন, তার নামে এখনও সরাসরি কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা তদন্তের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি। প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে সাবরিনা বলেন, জেকেজির প্রতারণার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকেও জানিয়েছিলেন তিনি।

সাবরিনা বলেন, আমি ডিজি ও এডিজিকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলাম।

এ বিষয়ে মহাপরিচালককে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এসকে