বেড়েই চলছে মুরগি ও তেলের দাম

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২১, ১০:২০ এএম বেড়েই চলছে মুরগি ও তেলের দাম

কয়েক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা মুরগি এবং তেলের দাম বেড়েছে আরও এক দফা। রোজার ঈদের আগে দাম কমবে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। বিক্রেতারাও কিছুটা কম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সপ্তাহে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি করা ব্রয়লার মুরগি এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। অন্যদিকে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা, হাঁস ৫০০ টাকা, কবুতর ১৪০ টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, ঈদের আগে দাম কমবে না। বরং আরও বাড়তে পারে। রমজানে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

দাম বাড়ার বিষয়ে রফিক নামের এক বিক্রেতা বলেন, “মুরগির বাচ্চা এবং খাদ্যের দাম বেশি। ফ্যাক্টরিগুলো থেকে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা কেনা পড়ে ৭৫ টাকা। তাই খামারিরা বেশি দামে মুরগি বিক্রি করে। বাজারেও তাই দাম বেশি।”

তেলের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। এ ছাড়া পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা, বসুন্ধরা ৬৩০, রূপচাঁদা ৬৩০ টাকা, তীর ৬৩০ টাকা।

চালের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৩ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৬ টাকা, স্বর্ণা (গুটি) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, স্বর্ণা (পাইজাম) বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা, আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা কেজি।

বৈশাখ মাসে নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমবে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

ক্রেতারা বলছেন, সরকারের যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে থাকবে।