স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা চালু রাখার পক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতারা

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২১, ০৯:১৬ পিএম স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা চালু রাখার পক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতারা

করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা চালু রাখার পক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতারা। সোমবার জনপ্রশাসনমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বইমেলা চলবে।

বিক্রেতারা বলেছেন, মেলা যদি না হতো তাহলে একটা বিষয় ছিল। কিন্তু করোনার অজুহাতে এই মুহুর্তে মেলা বন্ধ করে দিলে আমরা সবদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলা চালু রাখার পক্ষে রয়েছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরাও। 

মঙ্গলবার মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা চালুর রাখার পক্ষে কথা বলছেন।

অনুপম প্রকাশনীর ম্যানেজার মো. শাহীন মেলার বলেন, “এটা ঠিক যে শুরুর দিকে মেলায় যে পরিমাণ ক্রেতা ছিল গত দুএকদিনে অনেকটা কমে গেছে। কিন্তু আমি মনে করি ক্রেতা আসবে। অতীতের মতোই সাড়া পাওয়া যাবে।”

স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে শাহীন বলেন, “বাজার-ঘাটে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না? কিন্তু বইমেলায় তো সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছেন। মেলা কর্তৃপক্ষও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে বিশেষ জোর দিচ্ছেন। মেলা বন্ধ করা ঠিক হবে না। অনেক টাকা খরচ করে স্টল দেওয়া হয়েছে।”

সাহিত্য প্রকাশের বিপণন কর্মকর্তা বাবুল সাহা বলেন, “মেলায় প্রথম দিকে যে পরিমাণ সাড়া পাওয়া গেছে বর্তমানে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও আমরা চাই মেলা চলুক। কারণ, মেলা বন্ধ হলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।”

অন্বেষা প্রকাশনীর ম্যানেজার মো. আবদুর রহমান বলেন, “অনেক টাকা পয়সা খরচ করে স্টল করা হয়েছে। বই ছাপা হয়েছে। বিক্রয়কর্মীদের রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মেলা বন্ধ করা ঠিক হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলাটা চলমান রাখা উচিত।”

বইমেলায় আগত কয়েকজন বইপ্রেমীর সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, বইমেলায় এমন নয় যে, একজন আরেকজনের গায়ের ওপর হুমির খেয়ে পড়ছেন। সামাজিক দুরত্ব যে একেবারেই মানা হচ্ছে তা নয়। তবে অনেকটাই মানা হচ্ছে। আমরা মনে করি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বইমেলা চলছে।

মেলায় নিয়মিত আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সৌমিত্র। তিনি বলেন, “বইমেলায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। বইমেলা জ্ঞানের একটা বিষয়। আমি মনে করি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা চলুক।”

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বইমেলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসছে কিনা জানতে চাইলে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ জাগরণকে বলেন, “গতকালই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে বইমেলা। আমাদেরও নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে।” 

প্রতিদিনের মতো আজও লেখক বলছি মঞ্চে কথা বলেছেন তিন লেখক। প্রাবন্ধিক সৌমিত্র শেখর, কথাসাহিত্যিক লুৎফর হাসান ও বিজ্ঞান লেখক আসিফ। সঞ্চালনায় ছিলেন যথাক্রমে স্বকৃত নোমান ও মোজাফফর হোসেন।

মেলায় আজ ১১২টি নতুন বই এসেছে। ১২টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মেলায় মোট বইয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৬০১টি।