গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তা-ও ক্রেতার মনে নেই স্বস্তি। কারণ, কয়েক দফা বাড়ার পর মাত্র ৫ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। অন্যদিকে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল ও তেল। তবে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে সবজির বাজারে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছেন বহু ক্রেতা। বিক্রেতারাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই না করেই পণ্য বিক্রি করছেন দেদার।
মুরগি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। গত সপ্তাহে এই মুরগির দাম ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ৩৭০ টাকা বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। তবে আগের মতোই ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার জাতের মুরগি। প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা এবং কবুতর ১৪০ টাকা।
মুরগির দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের মনে। তারা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা, আর কমেছে মাত্র ৫ টাকা। এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। দাম আরও কমানো প্রয়োজন।
মো. জিয়াউল হক নামের এক বিক্রেতা বলেন, “রোজার আগে মুরগির দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।”
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “খামারিরা বেশি দাম দিয়ে বাচ্চা কিনে আনে। তারপর সেগুলো বড় করে বিক্রি করে। বর্তমানে মুরগির খাদ্যের দামও বেশি। তাই মুরগির দাম কিছুটা বেশি।”
এদিকে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৩ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৬ টাকা, স্বর্ণা (গুটি) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, স্বর্ণা (পাইজাম) বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা, আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা কেজি।
তেলের বাজারেও একই অবস্থা। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৪ টাকা। এ ছাড়া পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা, মুসকান ৬২০ টাকা, বসুন্ধরা ৬৩০, রূপচাঁদা ৬৩০ টাকা, তীর ৬৩০ টাকা।
তবে কিছুটা স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। বর্তমানে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সজনে ডাটা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, টমেটো ১০ টাকা, মুলা ২৫ টাকা, শসা ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, মরিচ ২০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, লাউ পিস ২০ টাকা, কুমড়া পিস ১৫ টাকা।
এছাড়া পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ৬০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১০৫ টাকা, আদা ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা এবং কাঁচা আম ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।