ফরিদপুর লালন পরিষদের আজীবন সদস্য, দোতারা বাদক ও বাউল শিল্পী রফিকুল ইসলাম (অন্ধ রফিক) ২ আগস্ট সকাল সাতটায় নিজ গৃহে দেহ রেখেছেন।
ফরিদপুর সহ আশে-পাশের জেলায় অতি পরিচিত মুখ, দীর্ঘ ৪০ বছর লোকগান গেয়ে ফেরা, গান গেয়ে জীবীকা নির্বাহ করা রফিকুল ইসলাম ফরিদপুর বাউল কুলের অত্যন্ত প্রিয়মুখ ছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা এবং এক পুত্র সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানা যায়, কিডনী জনিত অসুস্থতাই তাঁর মৃত্যুর কারণ।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ফরিদপুর লালন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পাগলা বাবলু খান সহ ফরিদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন সকলেই।
শিল্পীর প্রতি সমবেদনা ও তাঁর স্মৃতিচারণ করে ফরিদপুরের সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মী মাহফুজুল আলম মিলন বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি বাউল শিল্পী রফিক আমাদের স্বজন ছিলেন। দীর্ঘ ২৫/৩০ বছরের লেনদেন ছিল আমাদের। গোয়ালচামট খাজা আস্তানা, শম্ভু নাথের দোকান, ব্রাহ্মণকান্দা, ভাজনডাঙ্গা, ছেউড়িয়া সহ বহু স্থানে সাধুসঙ্গে দোতরা হাতে রফিক আমাদের সঙ্গী ছিলেন। ২০২০ সালে পাঠক-সংগঠন 'বইঘাটা'র সদস্যদের সাথে রাজবাড়িতে সদ্য প্রয়াত চিত্রশিল্পী মনসুরুল করিমের বাড়িতে গেলাম, সেই শেষবার আমাদের সহযাত্রী হয়েছিলেন রফিক। ফরিদপুর শহর ও শহরতলীর অত্যন্ত প্রিয়-চেনা মুখ রফিক আজ জীবন থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন। শিল্পী রফিকের এই যাওয়া তো যাওয়া নয় যাওয়া, রফিক চির মমতায় থাকবেন আমাদের হৃদয়ে।
২ আগস্ট বাদ জোহর গোয়ালচামট বেতুয়া বাড়ি জামে মসজিদে জানাজা শেষে শহরের আলিপুর গোরস্থানে তাঁর দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।
জাগরণ/এসকেএইচ