নতুন করে জঙ্গিবাদ উত্থানের শঙ্কা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১, ১২:৫৭ এএম নতুন করে জঙ্গিবাদ উত্থানের শঙ্কা
সাম্প্রতিক ছবি

আফগানিস্তানে তালেবান সরকার গঠিত হলে দক্ষিণ এশিয়ায় আবার নতুন করে জঙ্গিবাদের ঢেউ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন মহানগর পুলিশ প্রধান শফিকুল ইসলাম। 

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ (অব.) মনে করেন, সব বাহিনী এক হয়ে কাজ করলেই বাংলাদেশে থেকে তালেবানে যোগ দিতে ইচ্ছুক তরুণদের প্রতিহত করা সম্ভব।   

রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে জালালাবাদ দখল নেয়ার পর, দুপুরের মধ্যে বিনা যুদ্ধে কাবুল দখল করে নেয় তালেবান। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তালেবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদরের সঙ্গে ৪৫ মিনিট বৈঠকের পরই পদত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তারপর তিনি দেশ ছাড়েন।

পরের দিন এক নতুন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আফগানদের। দেশ আবারও ফিরে গেছে তালেবান যুগে। তবে একদিনেই গোটা দেশটিতেই তৈরি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। রাজধানী কাবুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রদেশে মানুষ আছে আতঙ্কে। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে লুটপাট।

এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে আবারও জঙ্গিবাদের আখড়া গড়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশ-বিদেশের বিশ্লেষক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তাই তালেবানের এই নজিরবিহীন উত্থানে চিন্তিত দক্ষিণ এশিয়ার সমরবিদসহ বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

সোমবার (১৬ আগস্ট) ডিএমপি প্রধান শফিকুল ইসলাম বললেন, আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থান এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, অনেক তরুণ জঙ্গি তালেবানে উৎসাহিত হয়ে কাবুলের দিকে যাওয়া চেষ্টা করতে পারে। যেটি অশনি সংকেত।  

শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের একার পক্ষে জঙ্গিবাদের এই নতুন স্রোতকে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এতে সমর্থন দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক আবদুর রশিদ। 

তিনি জানান, তালেবানের এই উত্থান দক্ষিণ এশিয়াকে নতুন করে কিছুটা অশান্ত করার চেষ্টা করবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালেবানের ক্ষমতা দখল গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই নতুন উৎকণ্ঠা নিয়ে এসেছে। নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে।

তাই, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মিলে যৌথ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানে কাজ করা উচিৎ বলে মনে করেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক। 

জাগরণ/এসএসকে/এমএ