স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সব গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ফলে আজ থেকেই সড়কে নেমেছে শতভাগ গণপরিহন। গত ১১ আগস্ট থেকে সারা দেশে মোট পরিবহনের অর্ধেক সংখ্যক বাস চলার অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু তা কেউ মানেনি। আর সরকারেরও ছিল না এ বিষয়ে কোনো তদারকি। তাই ১১ আগস্ট থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে ছিল দুঃসহ যানজটের ভোগান্তি। তবে এবার শতভাগ গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি মিলল।
সব গণপরিবহন চালু কারায় স্বস্তিতে আছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। পাশপাশি দূরপাল্লার সকল রুটের বাসও চালু করেছে। দূরপাল্লার বাসে প্রতি সিটে যাত্রী নেওয়া যাচ্ছে। বাস চালাচল স্বাভাবিক হওয়ায় দূরপাল্লার বাসে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম রয়েছে।
যদিও সারা দেশের মোট কি পরিমাণ বাস চলাচল করে তার সঠিক কোন হিসাব নেই পরিবহন মালিকদের কাছে। বাসে সকল সিটে যাত্রী নেওয়া যাচ্ছে। বাসে দাঁড়িয়ে কোন যাত্রী বহন করা যাবে না এমন কথা থাকলেও, রাজধানীর বাসগুলোতে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত নজর চোখে পড়ছে। বাস চালুর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, মাঠ পর্যায়ে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএকে।
এদিকে সড়কে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল সংক্রান্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে থেকে বলা হয়েছে, গণপরিবহন ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া থাকছে না। সুতরাং অতিরিক্ত ভাড়া কোন ভাবে আদায় করা যাবে না। গণপরিবহনের চালক-হেলপার সুপারভাইজার কন্টাকটার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রার শুরু এবং শেষে যানবাহনগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়া যানবাহনের মালিকদের যাত্রীদের হাত ব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে নিউ মার্কেট আজিমপুর-উত্তরাগামী ভিআইপি পরিবহনের চালক মো. রফিক দৈনিক জাগরণকে বলেন, আগে অর্ধেক গাড়ি চলতো এতে আমাদের অনেক চালক-হেলপার গাড়ি চালাতে পারতেন না বেকার থাকতেন। তবে এখন সব গণপরিবহন খুলে দেওয়ার অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে পরিবহন থেকে শুরু করে শ্রমিকদের মাঝেও।
জাগরণ/এমএইচ