নৌডুবি ঘটনায় মারা যাওয়া ১৯ জনের পরিচয় মিলেছে

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২১, ১০:৪৭ এএম নৌডুবি ঘটনায় মারা যাওয়া ১৯ জনের পরিচয় মিলেছে
সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় শতাধিক যাত্রীবাহী নৌকার সঙ্গে বালুবোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় রাত ১২টা পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

উদ্ধার হওয়ার ​২১ জনের মরদেহের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

নিহতরা হলেন—বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের হুদাইপাড়া এলাকার কামাল মিয়ার মেয়ে মাহিদা আক্তার (৫), আবদুল হাসিমের মেয়ে কমলা বেগম, একই ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের অকিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনি বিশ্বাস (৫০), নূরপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে মিনার বেগম, একই গ্রামের জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০) ও কন্যা (৬), একই গ্রামের মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), একই ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের জহিরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে আরিফ বিল্লা (২০), মনিরপুর গ্রামের আবদুর বারীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৮), পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের পরিমলের স্ত্রী অঞ্জনা (৫০) ও তার মেয়ে তিতিবা (৩)।

আরও রয়েছেন জেলা শহরের দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), পৈরতলা এলাকার ফারুক মিয়া স্ত্রী কাজলী বেগম, সদর উপজেলা ভাটপাড়া গ্রামের ঝাড়ু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮), সদর উপজেলার নরসিংসার ইউনিয়নের গাছতলা গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে আজীম (৭), সদর উপজেলা সাদেকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮), শহরের দক্ষিণ পৈরতলার আবু সায়েদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫), সদরের চিলোকুট গ্রামের আবদুল্লাহর মেয়ে তাক্বওয়া (৮) ও ময়মনসিংহ জেলার খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৫৫)।

শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কা বিলে যাত্রীবাহী নৌকার সঙ্গে বালুবোঝাই ট্রলারের ধাক্কার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন জানান, কিছু মরদেহ ঘটনাস্থলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালেও বেশকিছু মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করতে এখানে এসেছেন। শনাক্ত করে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, নৌকা ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশুর মরদেহ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ