ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ১ মার্চ থেকে ডিএনসিসির সেবা পেতে করোনা টিকার সনদ লাগবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে কোভিড-১৯ গণটিকাদান কর্মসূচি এবং শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, সরকার সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছে। কেউ টিকা নেবে, কেউ নেবে না, তা হবে না। সবাইকে টিকার আওতায় আসতে হবে। টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তাই ডিএনসিসি এলাকার যেসব বাসিন্দা অন্তত ১ ডোজ টিকাও নেবেন না; ১ মার্চ থেকে তাদের সেবাদান বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার, টিকা হবে সবার। এ সময় নগরবাসীকে টিকা নিয়ে নিজেকে, পরিবারকে ও শহরকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানান আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দেশ ও দশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মুক্ত ঢাকা গড়তে সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের জন্মসনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারাও ডিএনসিসির আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে স্থাপিত টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবেন। ১৮ বছরের নিচে যারা রয়েছে, তাদের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে আলাদা বুথের ব্যবস্থা থাকবে।
রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যারা ডিএনসিসির বুথ থেকে টিকা নেবেন, তাদেরও তাৎক্ষণিকভাবে টিকা সনদ দেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র।
তিনি বলেন, টিকা নিতে কোনও টাকা লাগে না।কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা ১২ বছর ঊর্ধ্ব সব নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। সবার উচিত এই সুযোগে টিকা নিয়ে নেয়া। এটা সবার জন্যই মঙ্গলজনক।
ডিএনসিসির নিয়ন্ত্রণাধীন ৫টি নগর মাতৃসদনে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ৬০ হাজার জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গণটিকার আওতায় ২ লাখ ২৯ হাজার ৬২৩ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
শোভাযাত্রায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ টিকাবিষয়ক কমিটির সভাপতি মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাগরণ/জাতীয়/রাজধানী/কেএপি