মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছে সরকার

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২২, ০৭:২৫ পিএম মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছে সরকার

পায়রায় দেশের সবচেয়ে বড় এবং অত্যাধুনিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার সাফল্য তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে দেশের প্রত্যেকটি ঘর আলোকিত করেছে সরকার, এটাই সব থেকে বড় সাফল্য।

সোমবার ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা জানান তিনি। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত করবো, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটা সেই আলোর পথে যাত্রা শুরু যে সফল হয়েছে সেই দিন।

মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে উপহার হিসেবেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, সকালে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর কোল জেটিতে ২০০ নৌকা থেকে পতাকা নাড়িয়ে ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে তাকে অভিবাদন জানানো হয়। নৌকায় গান পরিবেশনসহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও স্লোগানে মুখরিত হয় রাবনাবাদ নদী এলাকা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তৃতা করেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের মহাপরিচালক (ডিজি) ইঞ্জিনিয়ার এ এম খুরশেদুল আলম।

উল্লেখ্য, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার অন্তর্গত রাবনাবাদ নদীর পাশে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১ হাজার একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের ১৩তম দেশে পরিণত হয়েছে।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিট ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়, ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়টি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল), চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এর মধ্যে ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগে।

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড এবং এনইপিসি ও সিইসিসি-এর কনসোর্টিয়াম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ ইপিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

ইউএম