ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এই বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে কোথাও কোথাও টানা বৃষ্টি না হয়ে, থেমে থেমে হালকা, মাঝারি বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘলা। দুপুরের দিকে কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়। দুপুরের পর আকাশে মেঘ বাড়তে থাকে। বিকেলের দিকে নামে মুষল ধারায় বৃষ্টি। ইতোমধ্যে ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর নিচু গলিগুলোতে পানিতে তলিয়ে গেছে।
আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, অশনির প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও মাঝারি আবার কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে সন্ধ্যার পর কিছু এলাকায় কমে আসতে পারে। বৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমে আসছে।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সমুদ্রে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বা পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হতে পারে। এসব এলাকার নৌ-বন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত আশনি সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হবে বা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ইউএম
