চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ভয়াবহ ডিপোতে আগুনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আগুন এবং বিস্ফোরণে আহত হয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে দুই শতাধিক। এছাড়া আহতদের চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (৫ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালকুদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুল হক জানান, সকালে ডিপো থেকে ২ ফায়ার ফাইটারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ৩ জন কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কিছু বুঝে ওঠার আগে বিস্ফোরণে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
এদিকে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোর ভেতরে ধ্বংসস্তুপ থেকে দু জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর মধ্যে একজনের ফায়ার ফাইটার রয়েছে। তবে তাদের নাম–পরিচয় কিছু জানা যায়নি। লাশ দুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে তিন জনের নামপরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন, ডিপোর আইসিটি কাউন্টারে কতর্ব্যরত মবিনুল হক, মহিউদ্দিন (২৪) ও হাবিবুর রহমান (২৩)। এদের মধ্যে মবিনুল ও মহিউদ্দিন বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। হাবিবুরের বাড়ি ভোলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ কনটেইনার ডিপো। মূলত এখান থেকে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়। ডিপোটিতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার মজুত ছিল। এসব কনটেইনারে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে। এখানে কর্তরত বেশিরভাগ লোকই চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা।
এসকেএইচ//