সুষ্ঠু ভোটের জন্য কারও কাছে ধরনার দরকার নেই

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২২, ০৯:২১ পিএম সুষ্ঠু ভোটের জন্য কারও কাছে ধরনার দরকার নেই

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ জন্য কারও দরোজায় ধরনা দেয়ার কোনো দরকার নেই।’

রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে শনিবার এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

‘ন্যাশনাল স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন অন ইনস্টিটিউশনালাইজেশন অফ প্যালাগিল্যাগ অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিআইজেড বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। সেই কমিশন দেশের জনগণকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন উপহার দেবে, সেটাই আমার বিশ্বাস। এটার জন্য তদবির করতে কারও দরোজায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বলছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে। আমরা যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, আমরা সেই রায় মানি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমার বলার কিছু নেই।’

আনিসুল হক বলেন, ‘সারা বিশ্বে যেভাবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে। এখানে পরিষ্কার বিষয় হলো, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে, সেই সরকার শুধু দৈনন্দিন কাজের জন্য থাকবে। এটা আইনের মধ্যেই আছে। আমরা আশা করব সবাই নির্বাচনে আসবে।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার ৪ উপধারায় একটি বিধান রয়েছে যে ধর্ষণ মামলায় ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। আমরা সেই আইনটি বাতিল করেছি। তার সঙ্গে ওই আইনের ১৪৬ ধারায় সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছি যে, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে ভিকটিমের চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করা যাবে না। তবে আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন। তাও বিচারিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর নিছক কোনো রাজনৈতিক চিন্তাধারা নয়; বরং তা ছিল একটি সার্বিক জীবন দর্শন, স্বাধীনতা, সাম্যতা ও সামাজিক বিচারের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠা করা।

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের জন্য তাৎক্ষণিক সময়োপযোগী ও ন্যায়বিচার প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইনগত পরামর্শ, দিকনির্দেশনা, রেফারেন্স এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় আইনি সহায়তা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে আমরা লিগ্যাল এইডের ধারণাটিকে লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সে প্রসারিত করছি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ডিআইজেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আন্দ্রিয়াস কুক ও আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।