তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ‘খাওয়া ভবন’ করে জনগণের টাকা গিলে খাওয়া দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বচোর উপাধি পাওয়া বিএনপির এখন বড় গলা।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
‘রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বলেন, রিজার্ভের টাকা চিবিয়ে খাননি, গিলে ফেলেছেন।
বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ প্রবাদের মতো এখন বিশ্বচোরদের গলা বড়। বিএনপি দেশকে চারবার একক ও একবার যৌথভাবে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্বচোর উপাধি পেয়েছিল। শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা, এখন বিশ্বচোরদের মুখপাত্র হচ্ছেন তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব।
হাছান মাহমুদ বলেন, তারা ‘হাওয়া ভবন’ বানিয়েছিল। হাওয়া ভবন তো আসলে একটা ‘খাওয়া ভবন’ ছিল। কারণ, জনগণের টাকা ওখানে খাওয়া হতো। হাওয়া ভবনে বসে জনগণের সব ব্যবসা, সব প্রজেক্টের ওপর টোল বসিয়েছিল এবং জনগণের টাকাটাই গিলে খেত তারা।
তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের টাকা আগে গিলে খেয়েছে, তারা শুধু খাওয়ার কথাই চিন্তা করে বলেই মির্জা ফখরুল সাহেব এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির শেষ সময় ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ সাড়ে ৩ বিলিয়নের কম। আমাদের নেত্রী, আমাদের সরকার সেটি ৪৪ বিলিয়নে উন্নীত করেছেন। এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে, দেশে নানা ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের কারণে এবং রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের কারণে সেটি ৩৭ বিলিয়নে নেমেছে। তারপরেও বিএনপির সময়ের তুলনায় ১২ গুণ বেশি।
হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা সব সময় খাওয়ার কথা চিন্তা করেন তো, সে জন্যই এসব কথা বলছেন।
খুলনার পর বিএনপির রংপুর ও বরিশালের সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপিকে তো পরিবহনমালিক-শ্রমিক সবাই চেনে। কারণ, ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি পরিবহনের ওপর অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করে এবং আগুন জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। তারা শত শত গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়ে দিয়েছে, শত শত মানুষ হত্যা করেছে। এ জন্য পরিবহনমালিক ও শ্রমিকরা শঙ্কিত। ফলে বিএনপি যেখানেই সমাবেশ ডাকে, সেখানেই তারা ধর্মঘট ডাকছেন।
ধর্মঘট ডাকা মালিকদের মধ্যে যে বিএনপির সদস্যরাও আছেন, তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, পরিবহনমালিক নেতা এবং সমিতির সদস্যদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন দলের মানুষ আছেন। শিমুল বিশ্বাস বাবু তো পরিবহননেতা, তিনিও বিএনপি করেন। ওনারাই তো ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ঘরানার পরিবহনমালিকেরাও শঙ্কিত এবং তারা কেউ যাতে বিএনপির অপরাজনীতির শিকার না হন, সেজন্য সবাই মিলে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এসকেএইচ//