রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের বিপরীত দিকে সিদ্দিক বাজার এলাকায় দুইটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মাথায় আঘাত ও রক্তক্ষরণে বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিক্যালের আশপাশে যেসব হাসপাতাল আছে সেগুলোও ব্যবস্থা করে রেখেছি। ডাক্তাররাও ওখানে প্রস্তুত আছেন। এখানে জায়গার অভাব হলে পাশে যে বার্ন ইউনিট আছে, সেখানেও রোগী রাখতে পারবো। সলিমুল্লাহ মেডিক্যালেও রোগী নিয়ে যেতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, এই পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন। ১১২ জনের মতো আহত অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। ভর্তি আছে প্রায় ৬৭ জন। বাকিরা অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আমরা হাসপাতালের পূর্ণ প্রস্তুতি রেখেছি। আমাদের এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরে ওয়ার্ডে বা আইসিইউ যেখানে চিকিৎসা দেয়া দরকার সেখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিস্ফোরণে মৃত্যুর কারণ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, অনেকেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং রক্তক্ষরণে বেশি মৃত্যু হয়েছে। কিছু লোকের আবার পুড়েও গেছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাত জন ভর্তি হয়েছেন। ওখানে দুই একজনের ৮০ শতাংশ পড়ে গেছে। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। এছাড়া অনেকেই অনেক ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখান থেকে অনেকে আবার ঢামেকে চলে এসেছেন।
রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজারে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন।
জাগরণ/জাতীয়/দুর্ঘটনা/এসএসকে