দেশে চালের মজুত পর্যাপ্ত। তাই ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কোনও শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে কারসাজি করে দাম বাড়াতে না পারেন সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে।
বাংলাদেশসহ অন্তত ১৪০টি দেশ চাল আমদানি করে ভারত থেকে।
সম্প্রতি ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এর ফলে অনেক দেশই সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ভারতের সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের চালের বাজারে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত দেশে উদ্বৃত্ত চাল রয়েছে। মজুতদাররা কোনও কারসাজি না করলে দাম নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলছেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে, দেশে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৮৬ লাখ টন। এর বিপরীতে চাহিদা ২ কোটি ৩ লাখ টন। বর্তমানে মজুত আছে ১৬ লাখ ৮ হাজার টন। তাই, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হলেও দেশের বাজারে সমস্যা হবে না।
কৃষিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, অসাধু মজুতদাররা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। তাই বাজারে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশে চালের উৎপাদন বাড়তে পারে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে