যারা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, তারা মানসিক রোগী বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
এস আলমের হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে স্বপ্রনোদিত হয়ে দেয়া রুলে আইনজীবী সুমনের পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন শুনানিতে সোমবার এসব কথা বলেন আদালত।
আদালতে এস আলম গ্রুপের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। অপরদিকে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এ সময় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ প্রশ্ন তুলে বলেন, দুর্নীতি যারা করে তারা কি সোনার মানুষ? তাদের দিয়ে কি সোনার বাংলাদেশ হবে? যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলছে আবার তারাই দুর্নীতির ভেতরে ঢুকে যায়।
আদালত বলেন, যারা মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত, তারা মানসিক রোগী। তা না হলে এত টাকার পেছনে কেন ছুটবে। পরে আদালত আইনজীবী সুমনের পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন নথিবদ্ধ করে রাখেন।
এস আলমের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি বুধবার।
একপর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘ইদানিং দেখা যাচ্ছে, কোন রায় কারও বিপক্ষে গেলেই কোর্টকে অ্যাটাক করে মন্তব্য করা হয়। আদালত বলেন, ফরমায়েশি রায় দেয়ার প্রশ্নই আসে না৷ নীতিগত আদর্শের মধ্যে থাকে আদালত। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর।’
জাগরণ/আইনওআদালত/এসএসকে