সাম্প্রতিক সময়ে রেলে ৮টি নাশকতার ঘটনায় প্রায় ৯ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শফিকুর রহমান।।
শুক্রবার বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশনে এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে নিহত হয় মা-শিশুসহ ৪ জন। এর আগে, গাজীপুরে লাইন কেটে ফেলায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে মারা যান একজন।
এমন পরিস্থিতিতে নাশকতা এড়াতে রাতে চলাচলকারী ৫টি লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত উত্তরা এক্সপ্রেস এবং ইশ্বরদী থেকে রহনপুর পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন।
সাম্প্রতিক সময়ে রেলের ৮টি নাশকতার ঘটনায় প্রায় ৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
ঢাকা ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শফিকুর রহমান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে রেলে ৮টি নাশকতার ঘটনায় প্রায় ৯ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নাশকতা ঠেকাতে রাতের ৫ জোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এসব ট্রেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। দেশের ৩৮০০ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ১২টি স্পটকে নাশকতার আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আর ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়াতে শুক্রবার থেকে পুলিশের পাশাপাশি ২৭০০ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’
রেলওয়ে পুলিশের ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে নাশকতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঢাকায়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘আজ থেকেই বন্ধ থাকবে উত্তরা মেইল ট্রেনটি। এ ট্রেন থেকে তেমন কোনো আয় না আসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে রেলওয়েকে। রাতেই ট্রেনগুলো অনেকটাই ফাঁকা থাকে। ফলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ১ জোড়া কমিউটার ট্রেন এবং জামালপুর-তারাকান্দা রুট বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহ-ভূয়াপুর রুটে দুটি লোকাল ট্রেনও বন্ধ থাকছে। আর ঢাকা-তারাকান্দার আন্তঃনগর যমুনার রুট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এসব ট্রেন আবার কখন সচল হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই কারও কাছে।
গত দেড় মাসে রেলপথের ১২টি স্থানে এবং ৫টি ট্রেনে আগুন দেয়া হয়েছে। তিনটি স্থানে রেললাইন কাটা এবং ফিশপ্লেটের ক্লিপ খুলে নেয়া হয়েছে।
জাগরণ/যোগাযোগ/এসএসকে