বিশ্ব বাজারের সাথে সমন্বয় করে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য কমিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানায়। শুক্রবার থেকে জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা। এই দুই জ্বালানির বর্তমান দাম ১০৯ টাকা। দাম কমেছে ৭৫ পয়সা।
অন্যদিকে, অকটেনের দাম লিটারে ৪ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ১২৬ টাকা আর পেট্রোলের দাম ৩ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ১২২ টাকা।
বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায় আর পেট্রোল ১২৫ টাকায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি ও ক্রয়মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর আগস্ট পর্যন্ত তিন দফা দাম সমন্বয় হয় জ্বালানি তেলের দাম। এতে প্রতি লিটার ডিজেল–কেরোসিনের দাম বাড়ে ৪৪ টাকা বা ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত।
২০২২ সালের শেষদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দেয় আইএমএফ। তখন থেকেই সরকার নীতিমালা তৈরির পথে হাঁটছে।
গত ৫ মার্চ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সামনে গরমের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জ্বালানি দাম সাশ্রয়ী করা হবে। এই সপ্তাহেই জ্বালানি ডাইনামিক প্রাইসিং পদ্ধতিতে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা হবে।
বিশ্ব বাজারের তেলের দাম বিবেচনা করে দাম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। এ সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন হবে।’
এর আগে গত ৩ মার্চ জ্বালানি তেলের দাম কমানোর আভাস দিয়েছিলেন নসরুল হামিদ।
জাগরণ/জ্বালানি/এসএসকে