ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে যাওয়া বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী জারিন দিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে এই নেত্রী বহিষ্কার হওয়ার ক্ষোভ থেকে স্লিপিং পিল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নিশ্চিত করেছেন।
জারিন দিয়া নামে ওই নেত্রী ছাত্রলীগের গত কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ১৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার ঘটনায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। তবে জারিন দিয়া সেদিন নিজেই হামলার শিকার হয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, জারিন দিয়া সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে বহিষ্কার করার ক্ষোভ থেকে স্লিপিং পিল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ২টার দিকে স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরের দিন তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। একদিন সুস্থ থাকলেও বুধবার (২২ মে) জারিন দিয়া আবার স্ট্রোক করে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ দিন রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্কয়ার হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। সেখানে তারা জারিন দিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, দিয়া তার ভুল বুঝতে পেরেছে। সে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। আর মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা তার বহিষ্কারাদেশ বিবেচনা করবো।
গত ১৩ মে (সোমবার) ছাত্রলীগের ৩০১ এক সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পদবঞ্চিত একটি অংশ সন্ধ্যায় বিক্ষোভ ও পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করতে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে। এ সময় তাদের ওপর পদপ্রাপ্ত ও তাদের সমর্থকরা হামলা করে। এতে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশাসহ ৫-৭ জন আহত হন। এই ঘটনায় তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ অনুসারে পাঁচজনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।
এমআইআর/এসএমএম