নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আজিজুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে দয়ারামপুর ইউনিয়নের চন্দ্রখইর এলাকায় বড়াল নদে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে শেওলায় জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে। নিহত আজিজুল ইসলাম উপজেলার চন্দ্রখইর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সেখের ছেলে। ঘটনার পর স্থানীয় জনগণ পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আজিজুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী বিদ্যুৎনগর বাজার থেকে ফিরছিলেন। এ সময় পুলিশের একটি দল অভিযানে গিয়ে মাদকসেবী সন্দেহে আজিজুল ইসলামকে ধাওয়া দেয়। গ্রেফতার এড়াতে পুলিশের তাড়া খেয়ে তিনি বড়াল নদে ঝাঁপ দেন। এরপর বড়াল নদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তারা আরও জানান, ঘটনার পর স্থানীয় জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাটোর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। এদিকে বিকালে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই রাশিদুল ইসলাম জানান, বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশের এসআই সাজ্জাদ ও তার সঙ্গে থাকা অপর একজন কনস্টেবল তার ছোট ভাই আজিজুলকে তাড়া দিয়েছিল। ওই তাড়া খেয়েই তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
বাগাতিপাড়া থানার এসআই সাজ্জাদ জানান, তিনি শনিবার স্পেশাল ডিউটিতে ছিলেন। একটি নিয়মিত মামলার তদন্ত শেষে নদীপাড়ে অনেক মানুষ দেখে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এ সময় নদীতে একটি ছেলে ডুবে গেছে শুনে তিনি ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দেন। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না। কোন পুলিশ কখন আজিজুলকে ধাওয়া দিয়েছে, তাও তার জানা নেই।
এ বিষয়ে নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, পুলিশ মাদকবিরোধী একটি অভিযান চালানোর সময় আজিজুল ইসলাম নদীতে ঝাঁপ দেয়। সেখানে নদী অনেক গভীর ছিল, প্রচুর শেওলা ছিল। ফায়ার ব্রিগেডের লোকেরা শেওলা জড়ানো অবস্থায় আজিজুলের লাশ উদ্ধার করে।
এনআই