ডেঙ্গুর সংক্রমণকে অবিলম্বে মহামারী ঘোষণার দাবি করেছে গণসংহতি আন্দোলন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের সকল সংস্থাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে দলটি। এর পাশাপাশি বানভাসী মানুষের জন্য বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্তমান ডেঙ্গু ও বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলন তিনি আহ্বান জানান।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায় ও কেন্দ্রীয় সংগঠক বেলায়েত শিকদারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার সরকারের সার্বিক গাফিলতি ও দুর্নীতির ফল। ডেঙ্গু যে এবছর বাড়বে, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরেরই এর পূর্বাভাস ছিল। ফলে আগেভাগেই ব্যবস্থা না নেয়াটা বিশাল দায়িত্বহীনতার পরিচয়। এরপর কীটনাশক ও ওষুধ ক্রয়ে দুর্নীতি ঘটেছে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যাবার পরই, অনেক প্রাণহানি ও জনবিক্ষোভের পর সরকারের টনক নড়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি, সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশবাসীকে এমন দুর্যোগের ভেতরে রেখে সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণ করছেন। অন্য যে কোনো সভ্য দেশে এমন পরিস্থিতিতে কর্তব্যে অবহেলা, দুনীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং অযোগ্যতার দায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও মেয়রদের পদত্যাগ করতে হতো।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, সারাদেশে যে পৌরসভার কর্মীরা মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করবেন, তারা আজ ১৯ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের ন্যায্য পেশাগত দাবিতে অবস্থান করছেন। তাদের দাবি নিয়ে কোন সাড়া না দিয়ে সরকার কার্যত গোটা দেশে এডিস মশার বিস্তারের বন্দোবস্ত করছে। তিনি অবিলম্বে পৌরসভার কর্মীদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে তাদেরকে মশক দমনে নিয়োগ করার দাবি জানান।
টিএস/বিএস