খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২১, ১২:১৬ এএম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন :  পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ● ফাইল ছবি

খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন, তিনি একজন আসামি জানিয়ে এ সংক্রান্ত মানবাধিকার প্রতিবেদনকে বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

সোমবার (১২ জুলাই( দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

যুক্তরাজ্য নিজের দেশের মানবাধিকার নিশ্চিত না করে অন্য দেশের ওপর খবরদারি করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এর আগে রোববার (১১ জুলাই) যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ হওয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার বাসায় অবস্থানকে ‘হাউস অ্যারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গে ‘হাউস অ্যারেস্ট’ শব্দটি ব্যবহার করা চরম বিভ্রান্তিকর।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনের কিছু অংশে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার তাকে তলব করে। বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘গৃহবন্দী’ হিসেবে ওই প্রতিবেদনে মন্তব্য করাটা চরম বিভ্রান্তিমূলক, তা ব্রিটিশ দূতকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশকে হতাশ করেছে। বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থানকে ‘হাউস অ্যারেস্ট’ (গৃহবন্দী) হিসেবে মন্তব্য করা চরম বিভ্রান্তিমূলক।

খালেদা জিয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, তার ভাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারি দণ্ডবিধি-১৮৯৮ অনুসারে তার কারাদণ্ড স্থগিত করে গত বছরের ২০ মার্চ তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দেয়া হয়। খালেদা জিয়া বিদেশ যাবেন না, দেশে চিকিৎসা নেবেন, এই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের জন্য কারাদণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। পরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২১ সালের মার্চে দুই দফায় তার কারাদণ্ড স্থগিত করে মুক্তির আদেশের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থানের বিষয় নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি থাকলে যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকার যাতে বাংলাদেশ সরকার কিংবা সরকারি দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে কটাক্ষমূলক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে, সেটি তলবের সময় ব্রিটিশ দূতকে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে।

জাগরণ/এমএ