বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন আর বক্তৃতা, বিবৃতি দেওয়ার সময় নেই। মাঠে নামার প্রস্তুতি নেন। সে আন্দোলনে আলেমরাও থাকবে আমরাও থাকবো, জিন্সের প্যান্ট ও থাকবে, পাঞ্জাবি ও থাকবে। আর সেটি হবে গণআন্দোলন।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেজর হাফিজ বলেন, ২০২২ সাল একটি ঘটনা বহুল বছর হবে। বাংলাদেশে অনেক কিছু দেখতে পাবেন। এই নিষেধাজ্ঞা যেটা হয়েছে তা মাত্র শুরু। আরও অনেক ঘটনা বাকি আছে। এই সাল হবে ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ, আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। সেখানে সর্ব শ্রেনীর মানুষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কখনো নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হননি। এই জনপ্রিয়তার কারণেই তাকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। যে টাকা খরচ-ই হয়নি, উল্টো বেড়েছে তার জন্য তাকে দিনের পর দিন জেলে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থা আর কতদিন চলবে, এরও অবসান হবে।
জেলে বন্দী আলেম ওলামাদের মুক্তি চেয়ে তিনি বলেন, তারা একজন হিন্দুত্ববাধী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় তারা দীর্ঘদিন জেলে পচে মরবে সেটাতো হওয়া উচিৎ না। সরকার পশ্চিমা দেশগুলোকে দেখাতে চায় দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোকেরাই ওয়ান ইলিভেন করেছে। এরাই হবে জঙ্গি। এরাই গণতন্ত্রের শত্রু, জনগণের শত্রু। তারা এসব দেখানোর জন্য নীরিহ মানুষগুলোকে জেলে রেখেছে। তারা ইসলামফোবিয়াকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ করতে চায়।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটির নামে যা হচ্ছে এসব নাটক। তিন বছর আগেই শেখ হাসিনা সার্চ কমিটি করে রেখেছেন। কারা সার্চ কমিটিতে আসবে আর কারা নির্বাচন কমিশনার হবেন তা শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগেই আছে।
ইউএম